দুর্বৃত্তদের দেয়া আগুনে ফেনীর ফুলগাজী উপজেলা চেয়রম্যান ও ফুলগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একরামুল হক একরাম (৪৭) গাড়িসহ পুড়ে নিহত হয়েছেন। সকাল ১১টার দিকে চেয়ারম্যান একরাম শহরের মাস্টার পাড়ার বাসা থেকে তার গাড়িযোগে ফুলগাজী উপজেলা পরিষদে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তরা শহরের একাডেমি এলাকায় তার গাড়ির গতি রোধ করে তাকে গুলি করে আহত করে। পরে গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিলে গাড়িতে পুড়েই তার মৃত্যু হয়। এসময় গাড়িতে থাকা ফেনীর ধলিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সাবু চেয়ারম্যান, স্থানীয় সাংবাদিক ফরহাদ ও গাড়ির চালক মামুন গুরুতর আহত হয়।
সাংবাদিক ফরহাদ সাংবাদিকদের জানায়, দুর্বৃত্তরা একটি সিএনজি অটোরিক্সা দিয়ে গাড়ির গতি রোধ করে একরাম চেয়ারম্যানকে গুলি করে। এসময় তিনি গাড়ি থেকে নেমে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাকে কুপিয়ে আহত করে আবার গাড়িতে তুলে দেয় এবং গাড়িতে পেট্রোল দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই একরাম সম্পূর্ণরূপে পুড়ে নিহত হয়। গাড়িতে থাকা বাকিরা গাড়ির পেছনের দরজা দিয়ে আহত অবস্থায় নেমে পালিয়ে গেলে স্থানীরা তাদের ফেনী সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এদিকে, চেয়ারম্যান একরাম নিহতের পর শহরের থমথমে অবস্থা বিরাজ করেছে। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুর রহমান বিকম-এর নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করেছে। পুরো শহরের যানবাহন চলাচল ও দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। দুপুর আড়াইটার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর মহিপালে যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে স্থানীয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগ। শহরের বিভিন্ন সড়কেও ছাত্রলীগ ও যুবলীগ টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক বন্ধ করে দিয়েছে।
শহরের একাডেমি এলাকায় একরাম সমর্থকরা বেশ কয়েকটি গাড়ি ও দোকানপাট ভাঙচুর করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও র্যাবের পাশাপশি বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুর রহমান বি.কম অতি শ্রীঘ্রই দুষ্কৃতিকারীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, তা না হলে পুরো জেলা অচল করে দেয়া হবে।