লক্ষ্মীপুরে গতকাল বুধবার মধ্যরাতে আওয়ামী লীগের দুই নেতা দুর্বত্তদের হাতে খুন হয়েছেন। সদর উপজেলার চরশাহী ইউনিয়নের রামপুর গ্রাম থেকে আব্দুল মন্নান ভূঁইয়ার গলাকাটা ও রায়পুর উপজেলার চরপাতা গ্রাম থেকে আব্দুল মজিদের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত আব্দুল মন্নান সদর উপজেলার চরশাহী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও আব্দুল মজিদ রায়পুর পৌর শহরের ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলে জানা যায়। পুলিশ পৃথক ঘটনাস্থল থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করে সদর হাপাতালে প্রেরণ করেছে।
এলাকাবাসী, নিহতের পরিবার ও পুলিশ জানায়, গতকাল রাত ১০টায় আব্দুল মন্নান ভূঁইয়া মোবাইল ফোনে কয়েকবার কল এলে তিনি বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। কিছুক্ষণ পর রাত সাড়ে ১২টার দিকে পার্শ্ববর্তী বাড়ির হেজু নামের এক ব্যক্তি মাছ শিকারে বের হলে ঘটনাস্থলে আব্দুল মন্নানের রক্তাক্ত লাশ দেখতে পেয়ে চিৎকার দেয়। এসময় আশে-পাশের লোকজন পুলিশকে অবহিত করার পর লাশ উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে পুলিশ।
নিহতের স্ত্রী আঞ্জুমান আরা বেগম জানান, পারিবারিক কোন শত্রুতা ছিল না আমার স্বামীর সঙ্গে, তিনি সকল রাজনৈতিক দলে লোকজনের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে চলছিল।
নিহতের মেয়ে তাহমিনা আক্তার জানান, আমার বাবাকে যারা মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে হত্যা করেছে তাদের মোবাইল নম্বার চেক করে গ্রেফতারসহ বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
স্থানীয় এলাকাবাসী সিরাজ উদ্দিন ও রাসেল জানান, আব্দুল মন্নান অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় তাকে দুর্বৃত্তরা হত্যা করেছে। তিনি আওয়ামী লীগ করেন শুধু এটাই তার অপরাধ ছিল বলে জানান তারা।
স্থানীয় দাসের হাট পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক এস আই মো. কামাল হোসেন জানান, আব্দুল মন্নানের গলাকাটা মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে হত্যার রহস্য উৎঘাটন ও জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।
এদিকে, রায়পুর উপজেলার চরপাতা গ্রামে উজির আলী পাটোয়ারী বাড়ির সামনে পৌর শহরের ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মজিদের মৃতদেহ পাওয়া গেছে।
রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মঞ্জুরুল হক আকন্দ জানান, কে বা কারা আব্দুল মজিদকে হত্যার পর লাশটি ফেলে রেখে গেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ময়না তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।