ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা একরামুল হক একরামের হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ফুলগাজীতে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল চলছে। ফুলগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের ডাকা হরতালের কারণে ফেনীর সঙ্গে ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার যোগাযোগ সম্পূর্ণরূপে বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
ভোর ৬টার আগেই হরতাল সমর্থকরা ফেনী থেকে ফুলগাজী ও পরশুরামের প্রবেশ পথ বন্ধুয়া বেইলি ব্রিজ থেকে ফুলগাজী বাজার পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে সড়কে গাছের গুড়ি, পল্লী বিদ্যুতের পিলার ফেলে সড়ক অবরোধ করে রেখেছে। সড়কের বিভিন্ন স্থানে তারা আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করে। মুন্সির হাট বাজার ও ফুলগাজী বাজারের বিভিন্ন স্থানে লাঠি হাতে বিক্ষোভ মিছিল করে সড়কে অবস্থান নিয়েছে।
বিক্ষোভকারীরা জানান, একরামের প্রকৃত হত্যাকারী ও নেপথ্য নায়কদের গ্রেফতার না করা পর্যন্ত তারা জেলা থেকে ফুলগাজীকে বিচ্ছিন্ন করে রাখেবে। হরতালে উপজেলার কোথায়ও একটি দোকানপাট পর্যন্ত খোলা নেই।
এদিকে, বুধবার চেয়ারম্যান একরামের দাফন শেষে একরাম সমর্থকরা বন্ধুয়া বেইলি ব্রিজের যে ফিসপ্লেট খুলে ফেলেছিল গভীররাতে তার মেরামত করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে পুলিশ শহরের বিভন্ন স্থান থেকে ১৮ জন ও ফুলগাজী থেকে যে ৫ জনকে আটক করেছিল তাদের মধ্যে সাখাওয়াত ও ইকবাল নামে দুই জনকে এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আটক দেখিয়ে ও ৪ জনকে অন্য মামলায় আটক দেখিয়ে বাকিদের ছেড়ে দিয়েছে।
অন্যদিকে, ফুলগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগ হরতালের পাশাপাশি বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে। সকাল ৯টায় উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে একরামের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল করছে তারা। সকাল ১১টায় স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময় করে পরবর্তী আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণার কথা রয়েছে।