ফেনীতে উপজেলা চেয়ারম্যান একরামুল হত্যার পরিকল্পনাকারী ফেনী পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবদুল্লাহ হিল মাহমুদ শিবলু আজ শনিবার দুপুর সোয়া ৩টায় ফেনী মডেল থানায় আত্মসমর্পন করেছে। এদিকে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ফুলগাজীতে শীর্ষ সন্ত্রাসী যুবলীগ কর্মী আলমগীর হোসেন ও তার বাবা ফকির মিয়াকে আটক করেছে পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত হয়েছে সন্দেহে ছোরাসহ কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ।
ফুলগাজী থানার অফিসার ইনচার্জ আহম্মেদ নাছির উদ্দিন মোহাম্মদ জানান, ফুলগাজীতে আটক ব্যক্তিদের নিয়ে পুলিশ উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে।
ফেনীর পুলিশ সুপার জানান, র্যাবের তদন্তে একরামুল হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে ফেনী পৌরসভার ৫নং ওয়াড কাউন্সিলর আবদুল্লাহ হিল মাহমুদ শিবলু ও জাহিদের নাম আসার পর দুপুর সোয়া তিনটার শিবলু ফেনী মডেল থানায় আত্মসমর্পন করেন। তিনি জানান, গণমাধ্যমে শিবলুর নাম আসার পর থেকে তিনি পুলিশের নজরদারিতে ছিলেন। তিনি আরও জানান, র্যাব ঢাকা থেকে একরামুল হত্যার যেসব হত্যাকারীদের গ্রেফতার করেছে তাদের ফেনীতে নিয়ে আসা হচ্ছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের পর যদি শিবলুর সম্পৃক্ততা পাওয়া যায় তাহলে তাকে আদালতে পাঠানো হবে।
ফেনী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মাহবুব মোরশেদ জানান, সম্প্রতি সময়ে শিবলুর বিরুদ্ধে ফেনী মডেল থানায় কোন মামলা নেই। তবে অতীতের অন্য কোন মামলার বিষয়ে তাৎক্ষণিক কিছু জানাতে পারেননি তিনি।
অন্যদিকে, র্যাব ঢাকা থেকে যাদের আটক করেছেন তাদের মধ্যে আবিদ ওরফে আবির যুবলীগ কর্মী। আবির ফেনী জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদিকা লায়লা জেসমিন ওরফে বড় মনির ছেলে এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর মামাতো ভাই। চৌধুরী নাফিজ উদ্দিন অনিক মামলার প্রধান আসামি মাহাতাব উদ্দিন চৌধুরী মিনারে ভাইয়ের ছেলে। এছাড়া গ্রেফতার হওয়া বাকি ব্যক্তিরা কাজী শাহান মাহমুদ, মো. জিহাদ, শাহজালাল উদ্দিন শিপন, সাজ্জাদ ইসলাম শিফাত ও হেলাল উদ্দিন স্থানীয় যুবলীগ কর্মী বলে জানা যায়।
মো. জাহিদকে র্যাব-৭ ফেনী থেকে আটক করে ঢাকায় র্যাবের সদর দপ্তরে পাঠিয়ে দিয়েছেন বলে জানা যায়। তবে আটক হওয়া জাহিদ একরামুল হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী জাহিদ চৌধুরী কিনা সে ব্যাপারে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
জাহিদ চৌধুরী ফুলগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক। তাকে উপজেলা নির্বাচনের আগে একরামুল হক একরাম দল থেকে বহিষ্কার করলেও পরবর্তীতে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করেন।