মালয়েশিয়াগামী ট্রলারে নিহতের ঘটনায় এবং মানবপাচারে জড়িত থাকার অভিযোগে টেকনাফ ও কক্সবাজার থেকে ৭ দালালকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাত ও শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়। এছাড়া আগে আরও তিনজনকে আটক করা হয়। সব মিলে আটককৃত দালালের সংখ্যা ১০।
আটক ব্যক্তিরা হলেন- টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের কাটাবুনিয়ার আবদুল মাজেদের ছেলে মোহাম্মদ ফারুক (৩০), হোয়াইক্যং ইউনিয়নের রইক্ষ্যং এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে নুরুল আলম (৩০), একই এলাকার মৌলভী আবুল আলীর ছেলে সৈয়দ আলম (৩২), খুইল্যা মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ মমতাজ (৩১) ও বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর এলাকার সুলতান আহমদের ছেলে মোহাম্মমদ আলী (৩৫)।
টেকনাফ থানার ওসি মোক্তার হোসেন জানান, ওই ৫ জনকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে আটক করা হয়।
অপরদিকে বৃহস্পতিবার রাতে কক্সবাজার শহরের একটি হোটেল থেকে ২ দালালকে আটক করা হয়। তারা হলো, রামু উপজেলার তেচ্ছিপুল ইউনিয়নের আবুল হোসেনর ছেলে জাহাঙ্গীর (২৭) ও সাতকানিয়া উপজেলার ভুষণ পালের ছেলে প্রকাশ পাল (৩৩)।
ওসি আরও জানান, এ সাতজন ছাড়াও থাইল্যান্ডের ২ জন ও মিয়ানমারের এক দালালকে ১১ জুন আটক করা হয়েছে। সব মিলে এখন ১০ দালাল আটক রয়েছে।
উল্লেখ্য, ১১ জুন বুধবারের মালয়েশিয়া ট্রাজেডির ঘটনায় পৃথক তিনটি মামলা হয়েছে। তার মধ্যে একটি মানবপাচার, একটি অবৈধ অনুপ্রবেশ ও অপরটি হত্যা মামলা।
মানবপাচার মামলায় আসামি ৮৯ জন ও অবৈধ অনুপ্রবেশ মামলায় আসামি ৩ জন।