আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামসহ ২০ জনকে আসামী করে মামলা করেছেন বরিশাল বিএম কলেজের এক ছাত্রলীগ কর্মী। মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে বরিশাল মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি জসিম উদ্দিনকে। এসএসসি ও এইচএসসি পাস না করেই জালিয়াতির মাধ্যমে কলেজে ভর্তি হওয়া ও ছাত্রত্ব দেখিয়ে ছাত্রলীগ সভাপতি পদ লাভ করায় মামলাটি করেন বিএম কলেজের ছাত্র ও ছাত্রলীগকর্মী মো. আল ইমরান।
বৃহস্পতিবার বিকেলে বরিশাল প্রথম যুগ্ম জেলা জজের আদালতে তিনি মামলাটি করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিলেও তাৎক্ষণিক এ ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত দেননি।
এ মামলায় ১৩ নম্বর বিবাদী করা হয়েছে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে। সাধারণ সস্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম রয়েছেন ১৪ নম্বরে। এছাড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ এমপি, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট তালুকদার মো. ইউনুছ এমপি, সরকারি বরিশাল কলেজ ও সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজের অধ্যক্ষ, শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক অসিম দেওয়ান, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সুমন সেরনিয়াবাত, সাধারণ সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক সহ ২০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলায় বাদী উল্লেখ করেছেন ১নং বিবাদী এসএসসি ও এইচএসসি পাস না করেও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে কলেজে ভর্তি হয়েছেন এবং তাকে বিধি না মেনে মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি করা হয়েছে। যেহেতু তিনি ছাত্র নন সেজন্য ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র ৫ (ক) মোতাবেক প্রাথমিক সদস্য হওয়ার যোগ্য নন। কিন্তু তিনি জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে সভাপতি হয়েছেন। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর তিনি তার ভর্তি বাতিলের আবেদন করেছেন। সনদ জাল করায় তিনি দণ্ডনীয় অপরাধ করেছেন। এ ছাড়াও ১ থেকে ৪নং আসামি (জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি ও সম্পাদক) ফৌজদারি মোকাদ্দমার আসামি হওয়ায় তারাও ওই পদে থাকার অযোগ্য। মামলাটি আমলে নিয়েছেন বরিশাল প্রথম যুগ্ম জেলা জজ মো. আশরাফুল ইসলামের আদালত। রবিবার এ বিষয়ে আদেশ আসতে পারে বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে মামলার বিবাদী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তালুকদার মো. ইউনুছ বলেন, যার বিরুদ্ধে অভিযোগ তার বিরুদ্ধে মামলা হওয়া উচিত। এখানে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী, সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যদের কেন জড়ানো হচ্ছে?