আদালতের পথে রওনা দিলেন বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জের কাউন্সিলর নজরুল ইসলামসহ আলোচিত সাতখুনের মামলায় অভিযুক্ত নূর হোসেন। সঙ্গে আরও তিন আসামি ওয়াহিদুর রহমান, খান সুমন ও বাকিজনের নাম জানা যায়নি। আজ রবিবার দুপুর ১২টা নাগাদ উত্তর চব্বিশ পরগণা জেলার বারাসত জেলা দায়রা আদালতে তোলা হবে।
শনিবার রাতে বাগুইহাটি পুলিশ থানায় রুটি-তরকারী খেয়ে গরাদে রাত কাটিয়েছেন তিনি। তবে ভালো ঘুম হয়নি। আজ সকালে ঘুম থেকে উঠে চা-বিস্কুট খেয়েছেন। এরপর সকাল নয়াটা নাগাদ নূর হোসেনসহ বাকিদের মেডিকেল চেকআপের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। সকাল দশটা নাগাদ তাকে ফের থানায় নিয়ে আসা হয়। এরপর সেখানে কিছুক্ষণ থাকার পর আদালতের পথে রওনা হয়েছেন তারা।
গতকাল ভারতীয় সময় রাত সাড়ে আটটা নাগাদ কলকাতার নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরসংলগ্ন এলাকা কৈখালির ইন্দ্রপ্রস্থ অ্যাপার্টমেন্ট থেকে গ্রেফতার করে বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ। নূর হোসেনের সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়। তার কাছ থেকে রিভলবারসহ গুলিও উদ্ধার করা হয়। রাতে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ওই জেলারই বাগুইহাটি থানায়। সেখানে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় নূর হোসেনকে।
উল্লেখ্য, গত ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের প্যানেল মেয়র নজরুল ও আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজন অপহৃত হওযার তিনদিন পর শীতলক্ষ্যর নদীতে তাদের লাশ ভেসে ওঠে। অপহরণের পরই নজরুলের পরিবারের পক্ষ থেকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও নারায়াণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নূর হোসেনকে প্রধান আসামি করে একটি মামলা করা হয়।
ওই ঘটনার পরই গা ঢাকা দেয় নূর হোসেন। দেশ ছেড়ে তিনি কলকাতায় আত্মগোপন করেছিল বলেও খবর পাওয়া গিয়েছিল। অবশেষে সেই কলকাতা থেকেই গ্রেফতার হলেন তিনি। সে সময় শোনা গিয়েছিল এরইমধ্যে নূর হোসেনকে ধরতে পুলিশের আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারপোলের সহযোগিতা চায় বাংলাদেশ পুলিশ।