গা ঢাকা দিতে কলকাতায় গিয়ে আর গোঁফ কাটেননি নূর হোসেন। এরমধ্যে একাধিকবার শেভ করলেও কলকাতার বাবুদের মতো গোঁফটি তিনি রেখে দেন। আইনের চোখকে ধূলো দিতেই তিনি এমনটা করে থাকতে পারে বলে ধারণা কলকাতা পুলিশের।
গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু (দমদম) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসংলগ্ন কৈখালী এলাকা থেকে কলকাতা পুলিশের সন্ত্রাসবাদবিরোধী শাখার হাতে গ্রেফতার হন নারায়ণগঞ্জের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামসহ সাত খুন মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেন। এ সময় তার তিন সহযোগী আশিক, সুমন ও শামীমকেও গ্রেফতার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে আশিকও সাত খুন মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। অনুপ্রবেশের অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করার পরই পরিচয় নিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়ে কলকাতা পুলিশ। এ সময় তার কাছে পাওয়া যায়নি কোন পাসপোর্ট। চেহারায় মিল থাকলেও মুখে বড় বড় গোফ থাকায় তাৎক্ষণিক নূর হোসেনের পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেনি কলকাতা পুলিশ। কারণ পলাতক হওয়ার আগমূহুর্তে নূর হোসেন ছিলেন ক্লিন শেইভড। পরে জিজ্ঞাসাবাদ ও সংশ্লিষ্ট নানা সূত্রের মাধ্যমে তার পরিচয় নিশ্চিত করা হয়।
গ্রেফতারের সময় নূর হোসেনের কাছ থেকে গুলিভর্তি একটি রিভলবার, বাংলাদেশ ও ভারতের ১০টি মোবাইল সিম কার্ড, একটি ল্যাপটপ, পেনড্রাইভ, সিডি ও গুরুত্বপূর্ণ কিছু কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়। ইন্টারপোলের সহায়তায় কৈখালী এলাকার এ ব্লকের ইন্দ্রপ্রস্থ নামের একটি ভবনের চতুর্থ তলা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। চিকিৎসার নাম করে ফ্ল্যাটটি ভাড়া নেওয়ার কথা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন নূর হোসেন।