সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটা থেকে ২ শতাধিক যাত্রী নিয়ে ছেড়ে আসা একটি ট্রলার বরগুনার তালতলী উপজেলার পায়রা নদীতে ডুবে যাওয়ার ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে পাঁচজনে দাঁড়িয়েছে। পাঁচ জনেরই মৃতদেহ উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড ও স্থানীয়রা। নিহতরা হলেন নাঈম (৯), ইউসুফ (৫৫), আমির আলী (৫০) , জয়নাল (৫৫) ও সফিজ উদ্দিন। এদের সবার বাড়ি পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলায়। পটুয়াখালীর কুয়াকাটা থেকে আজ সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে দু’শতাধিক যাত্রী নিয়ে বরগুনার চলাভাঙ্গা দরবার শরীফে আজ দুপুরে শুর’ হওয়া মাহফিলে যোগদিতে আসার পথে তালতলী উপজেলার নিশানবাড়ীয়া ইউনিয়নের পায়রা নদীতে তেতুলবাড়ীয়া নামক স্থানে ট্রলারটি ডুবে যায়। ট্রলারটি অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই ছিল বলে উদ্ধার হওয়া কয়েকজন যাত্রী জানিয়েছেন।
নিশানবাড়ীয়া ইউপি চেয়ারম্যান দুলাল ফরাজী জানান, আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ট্রলারটি ডুবে গেলে স্থানীয়রা যাত্রীদের উদ্ধারের চেষ্টা চালায়। এসময় জয়নাল নামের একজনের মৃতদেহ উদ্ধার করে। নিহত জয়নালের বাড়ী কুয়াকাটা ঝাউবন এলাকায় বলে জানা গেছে। উদ্ধার কাজ অব্যাহত রয়েছে।
উদ্ধার হওয়া যাত্রী আলীপুর বাজারের মত্স্য ব্যবসায়ী চান মিয়া সাংবাদিকদের জানান, সকাল পোনে ৯টার দিকে আবদুল কাদের মাঝির একটি ট্রলার চলাভাঙ্গা দরবার শরীফ মাহফিলের উদ্দ্যেশে যাত্রা শুর’ করে। তালতলীর তেতুলবাড়ীয়া এলাকায় এসে ট্রলারটি ডুবে যায়। এসময় অধিকাংশ যাত্রী সাতার কেটে তীরে উঠলেও এখনো ৩ জন নিখোঁজ রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. বাবুল আক্তার বলেন, বঙ্গোপসাগর, বিষখালী ও পায়রা নদীর মোহনায় তীর থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে স্রোতের চাপে ট্রলারটি কাত হয়ে ডুবে যায়। বরগুনার জেলা প্রশাসক মো. জহির’ল ইসলাম ও পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে উদ্ধার কাজ তদারকি করেন। তাত্ক্ষণিকভাবে বরগুনা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতদের দাফনের জন্য ৫ হাজার টাকা করে অনুদান দেয়া হয়।
ট্রলার ডুবির এ ঘটনায় গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন চলাভাঙ্গা দরবার শরীফের পীর আলহাজ্ব মাওলানা সৈয়দ মুহা. সায়াদ হোসেন।
বিডি-প্রতিদিন/১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫/শরীফ