ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার সমষপুর এলাকায় পৃথক ৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫ জন নিহত হয়েছেন। এসব ঘটনায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৩৫ জন।
শুক্রবার সকাল ৭টা থেকে দুপুর ড়েটটা পর্যন্ত পৃথক এই তিনটি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের স্থানীয় হাসপাতাল ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জেলার আতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ জানান, শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে ঢাকা থেকে মাওয়াগামী আপন পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসটির চাকা পাংচার হয়ে গেলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের খাদে পড়ে যায়। এতে ১৬ জন আহত হন। গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে আহতদের মধ্যে অজ্ঞাত (২৫) এক ব্যাক্তি মারা যান।
অপরদিকে, একই উপজেলার উমপাড়া নামক স্থানে দুপুর দেড়টার দিকে ঢাকা থেকে দোহারের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা আরাম পরিবহন নামের একটি যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়কের পাশে ডোবায় তলিয়ে যায়। এ সময় ঘটনাস্থলেই এক শিশু এবং আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে এক আহত নারী ও এক পুরুষ মারা যায়। এ ঘটনায় অন্তত ২০ যাত্রী আহত হয়েছেন। আহতদের স্থানীয় ষোলঘর হাসপাতাল এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঢাকা থেকে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌছে উদ্ধারকাজ শুরু করে।
উদ্ধার তৎপরতা চালাতে ফায়ার সার্ভিসের জেটি ও ক্রেন রাস্তার উপর থাকায় মহাসড়কের দুই পার্শে প্রায় ২০ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে যাত্রীরা চরম দুর্ভোগের শিকার হন। পরে প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টা চেষ্টার পর ফায়ার সার্ভিস বাসটিকে পানি থেকে টেনে উপরে উঠাতে সক্ষম হয়। এরপর মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক সাইফুল হাসান বাদল ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ এর নেতৃত্বে উদ্ধার তৎপরতা সমাপ্ত করা হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে আসে।
এছাড়া মুন্সীগঞ্জের লৌহজং শিমুলিয়া ১নং ফেরিঘাট এলাকায় পিকাপভ্যান চাপায় এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। শুক্রবার বেলা ১১টায় ১নং ফেরি ঘাট দিয়ে যমুলা নামের ফেরিতে উঠতে গেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত মোটরসাইকেল আরোহী জিয়া-উর রহমান (৩০)।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মাওয়া নৌ-ফাড়ি ইনচার্জ এস আই ইউনুস খান জানান, ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে থেকে লাশ উদ্ধার করে পিকাপভ্যানটিকে আটক করেছে। তবে চালকে পাওয়া যায়নি।
বিডি-প্রতিদিন/০৭ আগস্ট, ২০১৫/মাহবুব