বেনাপোলে দুর্ঘটনায় পড়া পুলিশের পিকআপ ভ্যান থেকে হাতকড়াসহ পালানো ইলিয়াছ মোল্লা (৩০) বুধবার গভীর রাতে পুলিশের সঙ্গে কথিত 'বন্দুকযুদ্ধে' নিহত হয়েছেন।
নিহত ইলিয়াছ রাজবাড়ী সদর উপজেলার কারচন্দ্রপুর গ্রামের সুরুজ মোল্লার ছেলে। পুলিশের দাবি, ইলিয়াছ একজন অস্ত্র বিক্রেতা।
বেনাপোল বন্দর থানার ওসি অপূর্ব হাসান জানান, বুধবার বিকালে পুলিশের গাড়ি দুর্ঘটনায় পড়লে হাতকড়াসহ পালিয়ে গিয়েছিলেন ইলিয়াছ। পরে তাকে ধরার জন্য পুলিশ বুধবার রাত আড়াইটার দিকে বেনাপোলের বারোপোতা চোরের রাস্তা এলাকায় অভিযানে গেলে সেখানে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
তিনি বলেন, “অভিযানের সময় চারটি মোটরবাইকে ৭/৮জন যুবককে দেখতে পেয়ে পুলিশ থামার সংকেত দেয়। এ সময় তারা পুলিশের দিকে চারটি ককটেল ছুড়ে মারে ও গুলি চালায়। পুলিশ আত্মরক্ষার জন্য পাল্টা গুলি ছুড়লে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরে সেখানে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ইলিয়াছকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি আরও বলেন, বন্দুকযুদ্ধের সময় পুলিশের এসআই মনির হোসেন, সিপাহী সেলিম ও মোসলেম আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে দুটি পিস্তল ও গুলি উদ্ধার করা হয়।
ওসি অপূর্ব হাসান জানান, মঙ্গলবার বিকালে বেনাপোল বন্দর এলাকা থেকে অস্ত্র ও গুলিসহ ইলিয়াছকে আটক করেছিল পুলিশ। বুধবার তাকে আদালতে নেওয়ার সময় কাগজপুকুর এলাকায় পুলিশের ওই গাড়ির সঙ্গে বিপরীত দিকে থেকে আসা একটি নসিমনের সংঘর্ষ হয়। এতে পুলিশের তিন সদস্য ও ভ্যান চালক আহত হন। ওই সুযোগে ইলিয়াছ পালিয়ে যান।
বিডি-প্রতিদিন/০৫ নভেম্বর, ২০১৫/মাহবুব