বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বাহিনীর সদস্যদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিডিআর (পূর্বনাম) বিদ্রোহের মতো আত্মঘাতী ঘটনা যেন আর না ঘটে। একইসঙ্গে বিডিআর বিদ্রোহের সঙ্গে সম্পৃক্ত উচ্ছৃঙ্খল ও বিপদগামী সদস্যদের বিচারের মাধ্যমে এই বাহিনী কলঙ্কমুক্ত হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
রবিবার সকালে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) দিবস-২০১৫ উদযাপন অনুষ্ঠানে জওয়ানদের সালাম গ্রহণের পর প্রাধন অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে এই পিলখানায় বিডিআর বাহিনীতে বিদ্রোহের সূত্রপাত ঘটে। ওই বিদ্রোহে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৩ জন প্রাণ হারান। এরপর ওই বাহিনীর নাম পরিবর্তন করে বিজিবি রাখা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সীমান্তে দায়িত্ব পালনে বিজিবি সফল হয়েছে। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকার কারণে সীমান্তে হত্যা কমেছে। বিজিবির তৎপরতার কারণেই সীমান্তে অপরাধ কমেছে।’
তিনি বলেন, ‘বিজিবির আধুনিকায়নে সরকার কাজ করছে। ২০০৯ সালের পর ২২ হাজার বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। ১০০ নারী সদস্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাদের বেতন-ভাতা বাড়ানো হয়েছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, বিজিবিকে আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। সুশৃঙ্খল ও দক্ষ বাহিনীর জন্য প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই। তাই বিজিবি’র সদস্যদের গড়ে তোলার ব্যবস্থা করেছি। আপনারা দেশপ্রেমের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন। আপনারা সুনাম অর্জন করবেন।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী হয়েছে। কারো কাছে মাথা নত করবো না আমরা। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হবো।
বিডি-প্রতিদিন/২০ ডিসেম্বর, ২০১৫/মাহবুব