২০৪১ সালে বাংলাদেশ হবে উন্নত, সমৃদ্ধ দেশ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, সেভাবেই আমরা বাংলাদেশকে এগিয়ে নেব। আমাদের দেশে দারিদ্র্য থাকবে না, অশিক্ষা থাকবে না।’
রবিবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আয়োজিত সমতলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীভুক্ত মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। ‘প্রধানমন্ত্রী শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট’ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, শিক্ষা ছাড়া কোনো জাতি দারিদ্র্যমুক্ত হতে পারে না, সেজন্য আওয়ামী লীগ বরাবরই ক্ষমতায় এসে শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দিয়েছে। শিক্ষার উন্নয়নে নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে।
তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় আসে তখন দেশে স্বাক্ষরতার হার ছিল ৪৫ শতাংশ। আওয়ামী লীগ সে হার বাড়িয়ে ৬২ দশমিক ৫ এ উন্নীত করেছে। এজন্য ইউনেস্কো বাংলাদেশকে পুরস্কারও দিয়েছে।
প্রান্তিক পর্যায়ে শিক্ষা নিশ্চিত হলেই দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন হবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেজন্য সরকার ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীসহ সবার উন্নয়নে কাজ করছে। প্রতিটি মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করে দেশকে এগিয়ে নেওয়া হবে। উন্নত দেশ গড়তে হলে কাউকে অবহেলা করা যাবে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদের স্থান হবে না। আমরা অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশ চাই। ধর্ম নিয়ে বিভেদ থাকলে এটি সম্ভব না। তাই আমাদের বিভিন্ন ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে কাজ করে যেতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। পার্বত্য চট্টগ্রামে ১৯৭৫ সাল পরবর্তী সময়ে সহিংসতা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। আমি ১৯৮১ সালে বাংলাদেশে ফিরি। ১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের পর পার্বত্য চুক্তি করি। সে অঞ্চলের জন্য আলাদা মন্ত্রণালয় গঠন করি। সেখানে একজন মন্ত্রীও আছে। তা ছাড়া, আঞ্চলিক পরিষদও গঠন করে দিয়েছি। পার্বত্য অঞ্চলের সার্বিক উন্নয়নে ব্যাপক পদক্ষেপ নিয়েছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা অবহেলিত মানুষদের উন্নয়ন করতে চাই। আমরা হিজড়াদের স্বীকৃতি দিয়েছি। তাদের সামাজিক পরিচয় দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। আমরা চাই সকলের উন্নয়ন সমানভাবে হোক।’
বিডি-প্রতিদিন/০৩ জানুয়ারি, ২০১৫/মাহবুব