কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশের সামপ্রতিক গুপ্তহত্যা নিয়ে ‘শক্তিধর’ দেশগুলো দ্বিচারিতা করছে। শক্তিধর দেশগুলো সর্প হইয়া দংশন করে, ওঝা হইয়া ঝাড়ে। তারা লাদেনেকে পাল-পোষ করেন, আবার প্রয়োজন ফুরালে বডিব্যাগ বানিয়ে সমুদ্রে ফেলে দেয়। সেই একই শক্তি এবং এ দেশীয় ষড়যন্ত্রকারীরা মিলে জঙ্গি কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে, গুপ্তহত্যায় মেতে উঠেছে। আমাদের দেশের চোরাগোপ্তা এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে সময়ে অসময়ে শক্তিধর এই সমস্ত দেশের 'আহা-উহু'র সীমা নাই। এরা চোরকে চুরি করতে বলে গৃহস্থকে সাবধান করে।’ সংসদের বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে মতিয়া চৌধুরী বাংলাদেশে জঙ্গি কায়দায় বেশ কয়েকটি হত্যাকাণ্ড এবং তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্বের উদ্বেগের উল্লেখ করে এসব কথা বলেন।
মতিয়া চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার অরল্যান্ডোর ঘটনার উল্লেখ করে বলেন, ‘তারা বানরের লেজে আগুন দিয়ে ছেড়ে দিয়েছিল অন্যের বাড়িতে আগুন লাগাতে। এখন সেই আগুন নিজেদের বাড়িতেও ছড়িয়ে পড়েছে।’ জঙ্গিবাদী তৎপরতার জন্য বিএনপি-জামায়াতকে দায়ী করে তিনি বলেন, ‘সেই একই বিএনপি-জামাত, মুসলিম বিশ্ব কর্তৃক ত্যাজ্য ইসরায়েলি রাষ্ট্রের গোয়েন্দা বাহিনী মোসাদের সঙ্গে মিলে ষড়যন্ত্র করে চেষ্টা করছে বাংলাদেশে ত্রাস ও নৈরাজ্য কায়েম করতে।’
তিনি জঙ্গিবাদবিরোধী ফতোয়ার জন্য আলেমদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘ফতোয়ার জন্য দস্তখত সংগ্রহেও বাধা দিয়েছিল জঘন্য খুনি জঙ্গিরা। এই জঙ্গিদের কর্মকাণ্ডে সারা বিশ্বে শান্তির ধর্ম ইসলামে বিশ্বাসী মুসলমানদের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে।’
বাজেট প্রসঙ্গে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া সঞ্চয়পত্রে সুদের হারে ‘বৈষম্য’ কমানোর তাগিদ দেন। অর্থমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘সঞ্চয়পত্রের ক্ষেত্রে দেখা যায়, দুই ধরনের সুদের হার। সরকারি কর্মচারীরা পায় বেশি হারে সুদ। সাধারণ মানুষ পায় কম হারে সুদ। এটি কেন? তিনি বলেন, ‘আমি সঞ্চয়পত্র ক্রয়কারীদের মধ্যে যারা বৃদ্ধ/বৃদ্ধা তাদেরকে ‘বয়স্ক ভাতা’ দেওয়ার জন্য অর্থমন্ত্রীকে তাগিদ দেব। কারণ এই স্তরের লক্ষ লক্ষ বৃদ্ধ/বৃদ্ধাদের প্রতি আমাদের দায়িত্ব আছে।’
বিডি-প্রতিদিন/২২ জুন ২০১৬/শরীফ