মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় যশোরের সাবেক সংসদ সদস্য সাখাওয়াত হোসেনসহ ৯ আসামির রায় যে কোনো দিন ঘোষণা করা হবে।
উভয়পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে বৃহস্পতিবার বিচারপতি আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ মামলা রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখে।
একাত্তরে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় অপহরণ, আটক, নির্যাতন, ধর্ষণ ও হত্যার মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচ অভিযোগ রয়েছে আসামিদের বিরুদ্ধে।
নয় আসামির মধ্যে জাতীয় পার্টির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক সাখাওয়াত, মো. বিল্লাল হোসেন বিশ্বাস ও মো. লুৎফর মোড়ল শুনানির সময় আদালতে হাজির ছিলেন। বাকি ৬ আসামি মো. ইব্রাহিম হোসাইন, শেখ মো. মজিবুর রহমান, এম এ আজিজ সরদার, আব্দুল আজিজ সরদার, কাজী ওহিদুল ইসলাম এবং মো. আব্দুল খালেক পলাতক।
এর আগে, যুদ্ধাপরাধের পাঁচ অভিযোগে গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এই ৯ জনের বিচার শুরু করে ট্রাইব্যুনাল।
২০১২ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি সাখাওয়াতসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগের তদন্ত শুরু করে প্রসিকিউশনের তদন্ত দল। গতবছর ১৮ জুন তদন্ত প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা হয়। এরপর ২৬ জুন অভিযোগ আমলে নেওয়ার বিষয়ে শুনানি হয়।
১২ জনের মধ্যে তিনজনের বিরুদ্ধে ‘অভিযোগের উপাদান’ না পাওয়ায় তাদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেয় ট্রাইব্যুনাল। ২০১৫ সালের ৮ সেপ্টেম্বর আদালত নয়জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেয়। এরপর ২৪ নভেম্বর অভিযোগ গঠনের ওপর পক্ষে-বিপক্ষে শুনানি শেষে ২৩ ডিসেম্বর বিচার শুরুর আদেশ দেয় আদালত।
বর্তমান জাতীয় পার্টির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক সাখাওয়াত এক সময় ছিলেন জামায়াত নেতা। ১৯৯১ সালে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে দাঁড়িয়ে যশোর-৬ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। কিন্তু মেয়াদপূর্তির আগেই জামায়াত ছেড়ে তিনি বিএনপিতে যোগ দেন। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে এলডিপি ও পিডিপিতেও ঘুরে আসা এই রাজনীতিবিদ গত সংসদ নির্বাচনে যশোর-৬ আসন থেকে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন পেয়েছিলেন।
বিডি-প্রতিদিন/১৪ জুলাই, ২০১৬/মাহবুব