পদ্মায় নাব্য সংকটের কাওড়াকান্দি-শিমুলিয়া নৌরুটে যে কোন মুহূর্তে ফেরি চলাচল বন্ধ হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়তে পারে ঈদে ঘরমুখো যাত্রী ও ট্রাক চালকরা। নাব্যতা সংকট মারাত্মক আকার ধারণ করায় নৌ-চ্যানেলের লৌহজং টার্নিংয়ে চলছে ড্রেজিং।
বিআইডব্লিউটিএ’র পৃথক ৮টি ড্রেজারের মাধ্যমে নাব্যতা সংকট নিরসনে পদ্মার পলি অপসারণের কাজ চলছে। এ ব্যাপারে নৌ-পরিবহনমন্ত্রী দাবি করেন, ঈদের আগে অবশ্যই চ্যানেলটি নাব্যতা সংকট কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবে।
দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর বর্তমানে রো-রো ফেরিগুলো শুধু দিনের বেলা চলাচল করছে। তবে নৌরুটে সচল থাকা ১১টি ফেরির সবগুলো কম যাত্রী ও যানবাহন বোঝাই করে পদ্মা পার হচ্ছে। কেননা লৌহজং টার্নিংয়ে নাব্যতা সংকটের কবলে ফেরিগুলো ডুবোচরে আটকে যাচ্ছে। নৌ-চ্যানেলের লৌহজং টার্নিংয়ে এখন পানি বয়ে যাচ্ছে মাত্র ৬ ফুট উপর দিয়ে। অথচ স্বাভাবিক ফেরি চলাচল করতে হলে কমপক্ষে ৭ ফুট উচ্চতায় পানি প্রবাহের দরকার। ফেরি চলাচলে অচলাবস্থার মুখে শিমুলিয়া ঘাট এলাকায় প্রতিদিনই কয়েক’শ যানবাহন পারাপারের অপেক্ষমান থাকে। এর মধ্যে পণ্যবোঝাই ট্রাকের সংখ্যাই বেশি।
এদিকে, নাব্য সংকট মোকাবেলায় ২৬ ইঞ্চির একটি নতুন ড্রেজার সংযোজন করা হয়েছে। এই রুটে চলাচলকারী ৮৭ লঞ্চের মালিকরা অতিরিক্ত যাত্রী উঠালে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ দেখা দিলে তাদেরকে লঞ্চে পারাপার না করে ফেরিতে পারাপারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
রো রো ফেরি শাহ আলীর মাস্টার ফারুক হোসন বলেন, নাব্যতা সংকটের মুখে আমরা ফেরি চালাতে পারছি না। ফেরির তলা আটকে যাচ্ছে নদীর তলদেশে। সঠিকভাবে ড্রেজিং না করলে চলাচল করা সম্ভব নয়।
নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান ঘাট পরিদর্শনে গিয়ে জানান, কাওড়াকান্দি-শিমুলিয়া নৌরুটে নাব্য সংকটে ফেরি পারাপারে কোন বিঘ্ন সৃষ্টি হবে না। এ জন্য ৮টি ড্রেজার দিয়ে বালু সরিয়ে নেয়া হচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন। ঈদের আগেই এ সমস্যা সমাধান হবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বিডি-প্রতিদিন/০৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৬/মাহবুব