প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ বলেছেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচন না হলে দেশে অরাজক ও সাংবিধানিক সংকটময় পরিস্থিতি সৃষ্টি হত।
ওই নির্বাচনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের বর্জনের বিষয়ে ইংগিত করে বিদায়ী সিইসি বলেন, “ইটস অ্যা পলিটিক্যাল গেইম। পলিটিক্সে আপনি যদি নির্বাচনে না নামেন, লোক তো ফাঁকা মাঠে গোল করেই যাবে।”
বুধবার নির্বাচন ভবনে শেষ দিন অফিস করে সঙ্গী নির্বাচন কমিশনার জাবেদ আলী ও মো. শাহনেওয়াজকে নিয়ে হাসিমুখে নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে শেষ ব্রিফিংয়ে আসেন সিইসি।
এ সময় এক পাশে রাখেন ইসি সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ ও অতিরিক্ত সচিব মোখলেসুর রহমানকে। পরে ব্রিফিংয়ে যোগ দেন নির্বাচন কমিশনার আবু হাফিজ; তবে নির্বাচন কমিশনার আবদুল মোবারক উপস্থিত ছিলেন না।
কাজী রকিব বলেন, “শপথ নেওয়ার পরই আমি বলেছিলাম কাজে নিরপেক্ষতা প্রমাণ করব। ৫ বছর মেয়াদে আমরা অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছি এবং তা সফলভাবে অতিক্রম করেছি। শেষে এসে বলতে পারি, আমরা জাতির সামনে নিরপেক্ষতা প্রমাণ করেছি।”
উল্লেখ্য, রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ইতোমধ্যে সার্চ কমিটির সুপারিশ থেকে পাঁচজনকে নতুন ইসির জন্য মনোনীত করেন। ১৫ ফেব্রুয়ারি শপথ নিয়ে তারা দায়িত্বে যোগ দেবে।
নতুন কমিশনে সিইসি নূরুল হুদার সঙ্গে কমিশনার হিসেবে থাকছেন সাবেক সচিব রফিকুল ইসলাম, সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব তালুকদার, অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ কবিতা খানম ও অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহাদৎ হোসেন চৌধুরী।
বিদায়ী কমিশনের সিইসি কাজী রকিবের সঙ্গে তিন নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আবদুল মোবারক, আবু হাফিজ ও জাবেদ আলীর পাঁচ বছর মেয়াদ পূর্ণ হল বুধবার। আর নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ ১৪ ফেব্রুয়ারি তার মেয়াদ শেষ করবেন।
সূত্র : বিডিনিউজ
বিডি প্রতিদিন/৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭/ সালাহ উদ্দীন