হালের আলোচিত ধর্ষণের ঘটনার একটি বনানীর রেইনট্রি হোটেলে দুই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ। ইতোমধ্যে গ্রেফতারের পর আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এমনকি তাদের কেউ কেউ জবানবন্দিও দিয়েছেন। এদেরই একজন নাঈম আশরাফ। বনানীর রেইনট্রি হোটেলে দুই তরুণী ধর্ষণের প্রধান আসামি সাফাত আহমেদের বন্ধু। এই মামলার বাদীকে সাফাত ও বাদীর বান্ধবীকে জোর করে ধর্ষণ করে নাঈম। গত ২৫ মে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত শিকদারের আদালতে দীর্ঘ জবানবন্দিতে সেকথা স্বীকার করে নেন নাঈম।
ঘটনার রাতে রেইনট্রি হোটেলে ওই দুই তরুণী ছাড়াও আরও কয়েকজন তরুণী ছিলেন। রাত গভীর হলে মামলার বাদী ওই তরুণী ও তার বান্ধবী ছাড়া অন্য মেয়েরা হোটেল থেকে বিদায় নেয়। জবানবন্দিতে নাঈম বলেন, হোটেল ত্যাগ করাদের মধ্যে একজনকে বাসায় পৌঁছে দিয়ে হোটেলে ফিরলে সাফাত দরজা খুলে দেয়। এরপর সে আমাকে বলে ওই তরুণীর সঙ্গে (মামলার বাদী) আনপ্রোটেকশন শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে। তখন আমি তাকে পিল খাওয়াতে বলি। সাফাত তাকে পিল খেতে বললে সে অস্বীকার করে।
পরবর্তী সময়ের ঘটনা বর্ণনা দিয়ে নাঈম বলেছে, এরপর দুই তরুণী আমাদের রুমে আসে। সাফাত তরুণীকে (মামলার বাদী) কিস করতে থাকে। আমিও তার বান্ধবীকে নিয়ে পাশের রুমে চলে যাই। এসময় নাঈম ও ওই তরুণীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় চলে গেলে বাধা দেয় ওই তরুণী। সে বলে ‘আমি বাজে মেয়ে নই’। এক পর্যায়ে জোর করে ওই তরুণীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করে নাঈম। এসময় প্রোটেকশন ব্যবহার করে নাঈম আশরাফ।
সূত্র: মানবজমিন।
বিডি-প্রতিদিন/১৭ জুলাই, ২০১৭/মাহবুব