প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার ভিত মজবুত হলে শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হার হ্রাস পায় বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবু হেনা মোস্তফা কামাল।
আজ রবিবার রাজধানীর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর মিলনায়তনে ‘রিডিং ইনহেন্সমেন্ট ফর এডভাসিং ডেভেলপমেন্ট (রিড) প্রকল্পের পঠন-শিখন সামগ্রীর এক প্রর্দশনীতে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা জানান তিনি।
ড. আবু হেনা মোস্তফা কামাল বলেন, শিশুকাল থেকে শিক্ষার্থী যদি সঠিকভাবে পড়তে পারে তাহলে পরবর্তী পর্যায়ে শিক্ষার ধাপ পার হতে সহজ হয়। পঠন-শিখন সামগ্রী ও মাঠপর্যায়ে এর কার্যক্রম ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে।
মহাপরিচালক বলেন, বর্তমান সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে ডিজিটাল রিডিং পদ্ধতির মাধ্যমে পড়ার কার্যক্রম নিশ্চিত হলে শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং শিক্ষকদের দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে।
এসময় এই প্রদর্শনীতে অফিস অফ পপুলেশন, হেলথ, নিউট্রিশন এন্ড এডুকেশনের (পিএইচএনই) সিনিয়র এডুকেশন অ্যাডভাইজার মো. শহিদুল ইসলাম, ইউএসএআইডির পরিচালক (শিক্ষা) বুশরা জুলফিকার এবং সেভ দ্য চিলড্রেনের (বাংলাদেশ) ভারপ্রাপ্ত চিফ অফ পার্টি রিড প্রকল্প শাহীন ইসলামসহ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক উপস্থিত ছিলেন।
সেভ দ্য চিলড্রেনের (বাংলাদেশ) ভারপ্রাপ্ত চিফ অফ পার্টি রিড প্রকল্প শাহীন ইসলাম জানান, ২০১৪ সাল থেকে রিড প্রকল্প প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সাথে প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত শিশুদের বাংলা পঠন দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করছে।
ইতোমধ্যে সারা দেশের ৭টি বিভাগের ১৯টি জেলার ৫ হাজার ১১২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ১৩৫৬টি কমিউনিটি রিডিং ক্যাম্প এ প্রকল্পের সুফল পাচ্ছে। ২০১৮ সালের মধ্যে রিড প্রকল্প প্রত্যক্ষভাবে সারাদেশের এক দশমিক ৫ মিলিয়ন শিশুর পঠন-দক্ষতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে।
আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে ইউএসএআইডি ও সেভ দ্য চিলড্রেন যৌথভাবে এ প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে। এবার আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসের প্রতিপাদ্য ছিল ‘ডিজিটাল বিশ্বে সাক্ষরতা।’
বিডি প্রতিদিন/১০ সেপ্টেম্বর ২০১৭/এনায়েত করিম