হাইকোর্টে শুনানি শেষে বিডিআর হত্যা মামলার রায় যে কোন দিন ঘোষণার (সিএভি) জন্য রয়েছে। শিগগিরই এ মামলায় হাইকোর্টে রায় ঘোষণার বিষয়ে আশা প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা।
গত ১৩ এপ্রিল সকল আসামির ডেথ রেফারেন্স ও ফৌজদারি আপিলের ওপর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমান রাখা হয়।
বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ১৮ জানুয়ারি হাইকোর্টে শুনানি শুরু হয়েছিল।
এ বিষয়ে ডেপুটি এটর্নি জেনারেল কে এম জাহিদ সরোয়ার কাজল জানান, ৩৭০ কার্যদিবস মামলায় শুনানি শেষে মামলাটি রায় ঘোষণার জন্য রাখা হয়েছে। শিগগিরই এ মামলার রায় ঘোষণার বিষয়ে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
বিচারপতি মো. শওকত হোসেনের নেতৃত্বে বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি বিশেষ বেঞ্চে বিডিআর হত্যা মামলায় বিচার কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পিলখানায় বিডিআর সদর দপ্তরে বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ জন সেনাকর্মকর্তাসহ ৭৪ জন হত্যাকান্ডের শিকার হয়। এ ঘটনায় প্রথমে রাজধানীর লালবাগ থানায় হত্যা এবং বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়। পরে এসব মামলা নিউমার্কেট থানায় স্থানান্তরিত হয়। মামলায় সিআইডি দীর্ঘ তদন্ত শেষে হত্যা মামলায় ২৩ বেসামরিক ব্যক্তিসহ প্রথমে ৮২৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। পরে সম্পূরক অভিযোগপত্রে আরও ২৬ জনের নাম অন্তর্ভুক্ত করায় আসামি দাঁড়ায় ৮৫০ জনে। এছাড়া বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় ৮০৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় সিআইডি। পরে আরও ২৬ জনকে অভিযুক্ত করে মোট ৮৩৪ জনের বিরুদ্ধে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেয়া হয়। বিচার চলার সময়ে বিএডআরের ডিএডি রহিমসহ চার আসামির মৃত্যু হয়।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন