আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম বলেছেন, গাড়িতে আগুন দেয়া বিএনপির পুরানো অভ্যাস। ইস্যু তৈরি করতে কক্সবাজার যাওয়ার পথে সাংবাদিকদের গাড়িতে হামলার নাটক যখন অডিও রেকর্ড ফাঁস হওয়ার মধ্যদিয়ে জাতির কাছে পরিষ্কার হয়েছে। তখন তারা ঢাকায় ফেরার পথে খালেদা জিয়ার গাড়িবহরের পাশের ফাঁকা বাসে আগুন দিয়ে নতুন ইস্যু তৈরি করতে চাইছে।
ঢাকায় ফেরার পথে ফেনীর মহিপালে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গাড়িবহরের পাশে বাসে আগুন দেয়ার ঘটনায় মঙ্গলবার বিকালে এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এসব কথা বলেন।
এনামুল হক শামীম বলেন, বিএনপি ভেবেছিল রোহিঙ্গাদের ত্রাণ দিতে ঢাকা থেকে বের হলে ঢাকা টু কক্সাবাজার রাস্তায় লাখ লাখ জনতা খালেদা জিয়াকে অভ্যর্থনা জানাবে। কিন্তু তা যখন আশানুরূপ উপস্থিতি পায়নি, তখন পত্রিকায় হেড লাইনের আশায় বেছে বেছে সাংবাদিকদের গাড়িবহরে হামলা করা হলো। কিন্তু এটা যে পূর্ব-পরিকল্পিত তা অডিও রেকর্ড ফাঁস হওয়ার মধ্যদিয়ে প্রমাণিত। সেই ষড়যন্ত্র যখন ব্যর্থ হয়েছে, তারা আবার নতুন নাটক সাজিয়েছে গাড়িবহরের পাশের ফাঁকা বাসে আগুন দিয়ে।
তিনি বলেন, আগুন নিয়ে খেলা বিএনপির পুরানো অভ্যাস। ২০১৩ নির্বাচনের আগে এবং ২০১৪ সালে নির্বাচন ঠেকানোর নামে গাড়িতে আগুন দিয়ে ঘুমন্ত চালককে হত্যা করেছে বিএনপি। খালেদা জিয়ার হুকুমে ২০১৫ সালে অবরোধের নামে তিন মাস পেট্রলবোমা হামলা চালিয়ে দেড় শতাধিক মানুষ হত্যা করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ কখনোই আগুন সন্ত্রাসের রাজনীতি করে না। খালেদা জিয়া নিজেই আগুন সন্ত্রাসী। নিজেরাই আগুন লাগিয়ে আবার সরকারের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করছে।
চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত এ সাংগঠনিক সম্পাদক আরও বলেন, বিএনপি নেত্রীর সফর উপলক্ষে সরকার সব ধরনের সহায়তা করেছে। ফেনী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার সার্কিট হাউজ বিএনপি নেত্রীর জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল। অথচ আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন বিরোধী দলীয় নেতা তখন তাকে চট্টগ্রামের সার্কিট হাউজ ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়নি। আমরা প্রতিহিংসার রাজনীতি করি না।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের কি দায় পড়েছে বিএনপির হাতে ইস্যু দেওয়া? শান্তিপূর্ণভাবে সরকার দেশ পরিচালনা করছে। রাজপথে বিরোধী দলের আন্দোলন নেই। দেশি-বিদেশী কোন চাপ নেই। আমরা কি নিজেরা নিজের পায়ে কুড়াল দেব? বিএনপি নিজেরাই আগুন দিয়ে আন্দোলনের ইস্যু তৈরি করতে চাইছেন। কিন্তু কল রেকর্ডের মতো এ ঘটনার সাথে কারা কারা জড়িত তা খুঁজে বের করা হবে। অপরাধী যেই হোক তাকে শাস্তির আওতায় আসতে হবে।
বিডি প্রতিদিন/৩১ অক্টোবর ২০১৭/আরাফাত