বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চারনেতা হত্যাকাণ্ডের নেপথ্য নায়কদের যারা আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছে এবং বিদেশে তাদের চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করেছে- একটি কমিশন করে তাদেরও বিচার করা দরকার বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলির সদস্য এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
শনিবার দুপুরে পুরান ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডের কেন্দ্রীয় কারাগারে (পুরাতন) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কারা স্মৃতি জাদুঘরের সামনে রক্ষিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন শেষে এ কথা বলেন তিনি।
জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক সংস্থা (ইউনেস্কো) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণকে বিশ্ব ঐতিহ্যের প্রামাণ্য দলিল হিসেবে ঘোষণা করায় কেন্দ্রীয় ১৪ দলের পক্ষ থেকে এ শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
নাসিম বলেন, বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চারনেতা হত্যাকারীদের বিচার হয়েছে। কিন্তু যারা এ হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে ছিল এবং হত্যাকারীদের আশ্রয় দিয়েছে তাদের বিচার হয়নি। তাই অবিলম্বে একটি কমিশন গঠন করে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চারনেতা হত্যাকাণ্ডের নেপথ্য নায়কদের এবং হত্যাকারীদের আশ্রয় প্রশ্রয় দেওয়ার জন্য বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ও তার স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং এরশাদের বিচার করা উচিত।
এ সময় সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের আহ্বায়ক ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ (একাংশ)’র সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান এমপি, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহদাৎ হোসেন, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদের আহ্বায়ক রেজাউর রশিদ খান ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)’র উপাচার্য ডা. কামরুল হাসান খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মোহাম্মদ নাসিমের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় ১৪ দল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কারা স্মৃতি জাদুঘরের সামনে রক্ষিত বঙ্গবন্ধু প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে। এ সময় বিউগলে করুণ সুর বেজে উঠে। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে নেতৃবৃন্দ কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
পরে নাসিম ১৪ দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর রোপন করা কামিনী গাছের নিচে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকেন। এরপর তিনি ১৪ দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধু যে কক্ষে বছরের পর বছর বন্দী জীবন পার করেছেন সে কক্ষ ঘুরে দেখেন।
এছাড়া তিনি ১৪ দলের নেতাদের নিয়ে জাতীয় চারনেতা কারা স্মৃতি জাদুঘরের সামনে রক্ষিত জাতীয় চারনেতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় বিউগলের করুণ সুর বাজানো হয়। এ সময় তারা কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
পরে নাসিম জাতীয় চারনেতা কারা স্মৃতি জাদুঘরের বিভিন্ন কক্ষ ঘুরে দেখেন এবং যে কক্ষে ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীকে হত্যা করা হয়েছিল সেই কক্ষে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে অংশগ্রহণ করেন।
বিডি প্রতিদিন/০৪ নভেম্বর ২০১৭/এনায়েত করিম