বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, পেঁয়াজের উৎপাদন, আমদানী ও বিপণন ব্যবস্থায় কিংবা এর দাম বৃদ্ধির পেছনে কোন প্রকার সিন্ডিকেট কাজ করেনি। বাংলাদেশে পেঁয়াজ আমদানীর মূল উৎস হচ্ছে ভারত। কিন্তু সেখানেও উত্তর প্রদেশ ও মহারাষ্ট্রে অনাকাঙ্ক্ষিত বন্যার কারণে উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ভারত প্রতি মেট্রিক টন পেঁয়াজের সর্বনিম্ন রপ্তানীমূল্য ৮৫০ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করে। ফলে স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজের মূল্য অস্বাভাবিকহারে বৃদ্ধি পায়।
জাতীয় সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে মঙ্গলবার প্রশ্নোত্তর পর্বে মো. রুস্তম আলী ফরাজীর (পিরোজপুর-৩) লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, গত মে-জুন মাসে ভারতের পেঁয়াজ উৎপাদনকারী উত্তর প্রদেশ ও মহারাষ্ট্রে অনাকাঙ্ক্ষিত বন্যার কারণে উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় পেঁয়াজের মূল্য অস্বাভাবিকহারে বৃদ্ধি পায়। ফলে পেঁয়াজ রপ্তানীকারক দেশ ভারত প্রতি মেট্রিক টন পেঁয়াজের সর্বনিম্ন রপ্তানীমূল্য ৮৫০ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করে। এই মূল্যে বাংলাদেশী আমদানীকারকরা পেঁয়াজ আমদানি করায় স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজের মূল্য অস্বাভাবিকহারে বৃদ্ধি পায়। এছাড়া বাংলাদেশেও এ বছর দীর্ঘমেয়াদী বন্যার কারণে পেঁয়াজ উৎপাদনকারী এলাকায় স্থানীয়ভাবে মজুদ করা পেঁয়াজের একটি বৃহৎ অংশ নষ্ট হয়ে যায়, যা স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধির অন্যতম কারণ।
তিনি আরও জানান, বাংলাদেশে পেঁয়াজের বার্ষিক চাহিদা প্রায় ২২ থেকে ২৫ লাখ মেট্রিক টন। স্থানীয় উৎপাদনের ক্ষেত্রে প্রক্রিয়াজাতকরণ ঘাটতি বাদে প্রায় ১৭ লাখ ৫ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজের উৎপাদন হয়েছে। চাহিদার তুলনায় পেঁয়াজের উৎপাদন ঘাটতি প্রায় ৭ লাখ মেট্রিক টন। এই ঘাটতি আন্তর্জাতিক বাজার থেকে আমদানির মাধ্যমে পূরণ করা হয়।
এদিকে, সরকার দলীয় সদস্য ইসরাফিল আলমের (নওগাঁ-৬) সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, বিশ্বখাদ্য সংস্থা ডব্লিউটিও এর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী উন্নয়নশীল দেশে জিএসপি সুবিধা দেওয়ার কথা। পৃথিবীর সকল দেশ দিয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দেয়নি। বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে রপ্তানি পণ্যের শুল্ক ও কোটামুক্ত (জিএসপি) সুবিধা দিচ্ছে না। আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আর জিএসপি সুবিধা চাইও না। সেদিন বেশি দূরে নয় যেদিন আমরা জিএসপি প্লাস সুবিধা পাব।
বিডি-প্রতিদিন/৩০ জানুয়ারি, ২০১৮/মাহবুব