দুই বাসের রেষারেষিতে হাত হারানোর পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া তিতুমীর কলেজের ছাত্র রাজীবের দুই ভাইকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়ে আপিল বিভাগে শুনানি হবে ১৭ মে।
ক্ষতিপূরণ না দিতে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে বিআরটিসি 'র আবেদনের প্রেক্ষিতে রবিবার চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী আবেদনটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির পাঠিয়ে দেন।
আদালতে বিআরটিসি'র পক্ষে ছিলেন এ বি এম বায়েজীদ। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার মুনীরুজ্জামান। রাজীবের পরিবারের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।
পরে রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, চেম্বার আদালত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেননি। এ বিষয়ে ১৭ মে শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়েছেন।
গত ৮ মে বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ রাজীবের দুই ভাইকে এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে বিআরটিসি ও স্বজন পরিবহনের মালিককে নির্দেশ দেন। এর মধ্যে ২৫ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ একমাসের মধ্যে দিতে বলা হয় দুই বাস কর্তৃপক্ষকে।
কিন্তু বিআরটিসি ২৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় ১০ মে আপিল আবেদন করেন।
আবেদনের পর ব্যারিস্টার মুনীরুজ্জামান জানিয়েছিলেন, কার কতটুকু দায় সেটা পরিমাপ কিংবা তদন্ত না করে ক্ষতিপূরণের আদেশ দেওয়া হয়েছে। আর এ ধরনের ক্ষতিপূরণ পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালে আবেদন করতে হয়। এছাড়া বিআরটিসি সরকারের টাকায় চলে। তারা কীভাবে ক্ষতিপূরণ দেবে? এসব কারণে হাইকোর্টের আদেশের বিআরটিসির অংশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। যেখানে একমাসের মধ্যে ২৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের আদেশ ছিল।
এর আগে হাইকোর্টের আদেশের পর আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, রাজীবের খালা জাহানারা পারভীন ও রাজীবের গ্রামের সাবেক চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদের ছেলে কাস্টমস কর্মকর্তা ওমর ফারুকের নামে সোনালী ব্যাংকের মতিঝিল শাখায় একটি যৌথ হিসাব খোলার নির্দেশ দিয়েছেন। ওই হিসাবে একমাসের মধ্যে দুই বাস।
বিডি প্রতিদিন/১৩ এপ্রিল ২০১৮/আরাফাত