বাংলাদেশের জাতীয়করণকৃত শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহ দক্ষ পরিচালনার জন্য তালিকাভুক্ত যে কোন শিল্প প্রতিষ্ঠানের শেয়ার বা স্বত্ব হস্তান্তর বা বিক্রি বা আগের ব্যবস্থাপনা চুক্তির অবসানের ক্ষমতা দিয়ে সরকারের অধীনস্ত কর্পোরেশনগুলো ক্ষমতা দিয়ে ‘বাংলাদেশ শিল্প প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ বিল, ২০১৮’ পাস করেছে সংসদ।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের ২১তম অধিবেশনে আজকের বৈঠকে বিলটি কণ্ঠভোটে পাস হয়। বিলটি পাস করার প্রস্তাব করেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। এরআগে বিলের ওপর আনীত জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনী প্রস্তাবসমূহ কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।
বিলে বাংলাদেশ জুট মিলস কর্পোরেশন, বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস কর্পোরেশন, বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশন, বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল কর্পোরেশন, বাংলাদেশ ক্যামিক্যাল ইন্ড্রাস্ট্রিজ কর্পোরেশন-এর তালিকাভুক্ত ২১০টি শিল্প প্রতিষ্ঠানকে তফসিলভুক্ত করা হয়।
বিলে তফসিলভুক্ত কোন শিল্প প্রতিষ্ঠান অথবা এর কোন শেয়ার বা স্বত্বাধিকার বা অন্য কোন অধিকার, জাতীয় স্বার্থে সরকার সুবিধাজনক পদ্ধতি ও শর্তে কোন কর্পোরেশন বা ব্যক্তির নিকট বিক্রয় অথবা অন্যবিধ হস্তান্তর করার বিধান করা হয়েছে। তবে বিক্রয় অথবা অন্যবিধ হস্তান্তরের পর চুক্তির শর্ত লংঘন বা শিল্প প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় ব্যর্থতার জন্য সরকার বিক্রয় ব্যতিত অন্যবিধ হস্তান্তর চুক্তি বাতিল করে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ফেরত গ্রহণ করতে পারবে। বিলে একজনকে চেয়ারম্যান করে সরকারের পক্ষ থেকে নির্ধারিত অন্যুন ৬ জন পরিচালকের সমন্বয়ে পরিচালনা পর্ষদ গঠনের বিধান করা হয়। এ পরিচালনা পর্ষদ কর্পোরেশনের সকল কার্য সম্পাদন ও এর সকল ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবে।
বিলে উদ্দেশ্য পূরণে বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল এন্টারপ্রাইজেস (ন্যাশনালাইজেশন) আদেশ ১৯৭২ এর অধীনে প্রতিষ্ঠিত কর্পোরেশনসমুহ এমনভাবে বহাল রাখার বিধান করা হয়, যেন তা এ বিলের বিধানের অধীনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। অর্থ ব্যয়ের প্রশ্ন জড়িত থাকায় বিলে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন নেওয়া হয়েছে।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল এন্টারপ্রাইজ (নাশনালাইজেশন) অর্ডার ১৯৭২ আইনটিতে পরবর্তীতে দশটি সংশোধনী আনা হয়। কিন্তু আদালতের নিদের্শে আইনটি কার্যকারিতা হারায়। ফলে এই আইন থেকে পেট্রোবাংলা সম্পর্কিত অংশ বাদি দিয়ে বাংলাভাষায় বিলটি প্রণীত হয়।
বিডি প্রতিদিন/৩ জুলাই ২০১৮/হিমেল