দেশের শেয়ারবাজারে দরপতন অব্যাহত রয়েছে। আর এর প্রতিবাদে রাজধানী মতিঝিলে বিক্ষোভ করেছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। পূর্বের কার্যদিবসের ধারাবাহিকতায় আজ প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি মূল্য সূচকের বড় পতন হয়েছে।
মূল্য সূচকের বড় পতনের পাশাপাশি ব্যাংক, বীমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ সব খাতের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমছে। ফলে ডিএসইতে পতনের খাতায় নাম লিখিয়েছে ২৭৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম বেড়েছে মাত্র ৪৫টির। এছাড়া ২৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
আজ লেনদেনের শুরু থেকেই সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা যায়। একের পর এক প্রতিষ্ঠানের দরপতনের কারণে লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক আগের কার্যদিবসের তুলনায় ৬১ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৩৭২ পয়েন্টে নেমে যায়।
এদিকে অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্য সূচক সিএসসিএক্স ১১২ পয়েন্ট কমে ৯ হাজার ৯৭৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১৫ কোটি ২৪ লাখ টাকা। লেনদেন হওয়া ২৪১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪২টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৮০টির। দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ১৯টির।
এমন বড় দরপতনের কারণে আজ দুপুরের দিকে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের একটি দল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সামনের রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেন। দরপতনের জন্য বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এবং ডিএসইর কর্মকর্তাদের দায়ী করেন তারা।
বিক্ষোভ থেকে বিনিয়োগকারীরা অভিযোগ করে বলেন, কারসাজি চক্রের খপ্পড়ে পড়ে শেয়ারবাজারে টানা দরপতন হচ্ছে। এতে একটু একটু করে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের পুঁজি শেষ হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু পতন ঠেকাতে বিএসইসি বা ডিএসই কেউ কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। সবাই যার বার সুবিধা আদায়ের চেষ্টা চালাচ্ছে।
প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) গত পাঁচ বছরের উত্থান-পতনের তথ্য বিশ্লেষণ করে বাজার বিশ্লেষকেরা বলছেন, কয়েক বছর ধরে সূচকের নিয়ন্ত্রিত উত্থান-পতন ঘটছে। প্রতিবারের উত্থান-পতনে সূচকের ৪০০ থেকে ৮০০ পয়েন্টের তারতম্য ঘটে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল