কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক সংসদে জানিয়েছেন, গত ১০ বছরে ৬৯ হাজার ৬২৪ জন কৃষকের ৭৫ হাজার ৭৪০ মেট্রিক টন শস্য সংরক্ষণের বিপরীতে ১২২ কোটি ২২ লাখ টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছে।
ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়ার সভাপতিত্বে শনিবারের সংসদের বাজেট অধিবেশনের বৈঠকে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে বিএনপির সংসদ সদস্য মো. হারুনুর রশীদের (চাপাইনবাবগঞ্জ-৩) প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক আরও জানান, কৃষকদের উৎপাদিত পণ্যের উৎপাদন খরচের চেয়ে বাজার মূল্য কম হওয়ায় কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বিষয়টি সব ক্ষেত্রেই সঠিক নয়। মাড়াইকালীন একসঙ্গে বেশি পণ্য বাজারজাত করায় পণ্যের মূল্য কিছুটা কম থাকে। পণ্যের মান কিছুটা কম থাকায়ও এমনটি হয়। তবে সংগ্রহের পর পরিচর্যা ও সংরক্ষণ করে মূল্য বৃদ্ধির পর বিক্রি করে অনেক কৃষক লাভবান হন। চলতি বছর আলু, শাক-সবজি ও ফল-মূল ইত্যাদির ক্ষেত্রে ভালো মূল্য পাচ্ছেন।
কৃষিক্ষেত্রে ব্যবহৃত কীটনাশক মৎস্য সম্পদের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে:
বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মশিউর রহমান রাঙ্গার (রংপুর-১) প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী জানান, কৃষিক্ষেত্রে ব্যবহৃত কীটনাশক ফসল উৎপাদনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। তবে কীটনাশকের যথেচ্ছ ব্যবহার পরোক্ষভাবে পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য কমবেশি ক্ষতির কারণ হয়ে থাকে। কৃষিক্ষেত্রে ব্যবহৃত কীটনাশক মৎস্য সম্পদের ওপর কিছুটা হলেও বিরূপ প্রভাব ফেলে থাকে।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম