বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, এই সরকার গত ১০ মাসেও দেশের বিনিয়োগ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে পারেনি। আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ সম্মেলন করেছে। খুবই ভালো উদ্যোগ। কিন্তু সেখানে অংশগ্রহণকারী সবার একটা কমন প্রশ্ন ছিল, সেটি হচ্ছে আগামী নির্বাচন কবে অনুষ্ঠিত হবে? নির্বাচন না হলে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা কেউ বিনিয়োগ করবেন না। যার প্রভাব ইতোমধ্যে দেখা যাচ্ছে। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার তা অনুধাবন করতে পারছে না।
সোমবার রাজধানীর গুলশানে ‘নীতি সংস্কার ও আগামীর জাতীয় বাজেট’ শীর্ষক নাগরিক প্ল্যাটফরম আয়োজিত সংলাপে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আমীর খসরু বলেন, অস্থিতিশীল পরিস্থিতির মধ্যে দেশের অর্থনীতি কখনোই এগোবে না। আগামী দিনে বাংলাদেশ কোথায় যাচ্ছে তা এই মুহূর্তে দেশের জনগণ কেউ জানে না। দেশটা একটা অনিশ্চয়তার দিকে চলে যাচ্ছে। এই সরকার তা অনুধাবন করতে পারছে না। যা মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। এই পরিস্থিতি উত্তরণে অন্তর্বর্তী সরকারকে দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দিকে যাওয়া দরকার। নির্বাচনী রোডম্যাপের মাধ্যমে শিগগিরই নির্বাচন দিয়ে আগামী দিনে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম দায়িত্ব। কিন্তু সরকারের তেমন কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। বরং তারা একের পর এক ইস্যু তৈরি করে সময়ক্ষেপণ করছে।
তিনি বলেন, পালিয়ে যাওয়া আওয়ামী লীগ সরকার অর্থনীতির প্রতিটি খাতেই ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে তথ্য-উপাত্ত তৈরি করেছে। অন্তর্বর্তী সরকারও সেই ভুল তথ্যের ওপর ভিত্তি করেই জাতীয় বাজেট প্রণয়ন করতে যাচ্ছে। ভুল তথ্যের ওপর বাজেট প্রণীত হলে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ হবে না।
মিয়ানমারকে মানবিক করিডর দেওয়া এ সরকারের কাজ নয় জানিয়ে এই বিএনপি নেতা বলেন, করিডর একটি স্পর্শকাতর বিষয়। এগুলো এ সরকার কেন করবে? এগুলো তো রাজনৈতিক সরকারের কাজ। রাজনৈতিক দলগুলো এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
আমীর খসরু বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার স্বল্প সময়ের সরকার। এই সরকারের জনগণের কোনো ম্যান্ডেড নেই। দেশের আপামর জনসাধারণের পালস বোঝার ক্ষমতাও এই সরকারের নেই।
বিডি প্রতিদিন/কেএ