১১ দফা দাবিতে নৌযান শ্রমিকদের ডাকা কর্মবিরতি ১৬ ঘণ্টা পর স্থগিত হলেও এবার লঞ্চ মালিকদের ধর্মঘটের কবলে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। বুধবার শ্রমিক কর্মবিরতির পর এবার নৌযান মালিকদের ধর্মঘটের কারণে বন্ধ রয়েছে যাত্রীবাহী সকল নৌযান চলাচল।
বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিনের মতো বরিশাল নদী বন্দর থেকে স্থানীয় ও অভ্যন্তরীণ রুটের কোনো যাত্রীবাহী নৌযান ছেড়ে যায়নি কিংবা অন্য কোনো স্থান থেকে বরিশাল নদী বন্দরেও আসেনি কোনো নৌযান।
নৌযান শ্রমিক এবং মালিকদের স্বার্থের দ্বন্দ্বে অবর্ণনীয় ভোগান্তি পোহাচ্ছেন হাজার হাজার যাত্রী। তারা দ্রুত এই অচলাবস্থা নিরসনের দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে মালিক কিংবা শ্রমিক নেতাদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
১১ দফা দাবিতে মঙ্গলবার মধ্য রাত থেকে সারা দেশে সকল ধরনের নৌযানে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করে নৌযান শ্রমিকরা। এতে বন্ধ হয়ে যায় সারা দেশে সকল ধরনের যাত্রী, পণ্য ও জ্বালানিবাহী নৌযান। নৌ যোগাযোগ বন্ধের ফলে বুধবার প্রথম দিনেই যাত্রীদের অবর্ণনীয় ভোগান্তির চিত্র দেখে যায়। পরে ওই দিন বিকেল ৪টায় শুধুমাত্র যাত্রীবাহী নৌযানে কর্মবিরতি স্থগিত করেন নৌযান শ্রমিকরা। তবে পণ্য ও জ্বালানিবাহী নৌযানে তাদের কর্মবিরতি অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মো. শাহ আলম ভূঁইয়া।
এদিকে শ্রমিকরা কথায় কথায় কর্মবিরতি ডেকে যাত্রীদের ভোগান্তিতে ফেলার প্রতিবাদে বুধবার বিকেলে যাত্রীবাহী নৌযানে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট আহ্বান করেন নৌযান মালিকরা।
এতে সারা দেশে সকল ধরনের যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে ধর্মঘট উপেক্ষা করে বুধবার রাতে বরিশাল নদী বন্দর থেকে দু'টি যাত্রীবাহী নৌযান ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে এবং একইভাবে একটি নৌযান ঢাকা থেকে বরিশালে এসে পৌঁছে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন