আশাবাদ ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ভারত আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র। বাংলাদেশের সাথে ভারতের রয়েছে সুসম্পর্ক। এর ফলে পারস্পারিক সহযোগিতা এবং উন্নয়নের নতুন নতুন ক্ষেত্র উম্মোচিত হচ্ছে। উভয় দেশের মধ্যে অনিষ্পন্ন ইস্যুসমুহ শীঘ্রই সমাধান হবে বলে আমরা আশাবাদী। আশা করা যায় আমার ভারত সফরের পূর্বেই ইতিবাচক ফলাফল পাওয়া যাবে।
বুধবার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্ব একাদশ সংসদের চতুর্থ বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে মুজিবুল হকের (কিশোরগঞ্জ-৩) এর লিখিত প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব তথ্য জানান।
এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৭-১৮ সালে ভারত সফরের সময় আমি তিস্তার পানি বন্টন সমস্যা সমাধানে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলোচনা করি। তিনি সমস্যা সমাধানে ইতিবাচক সাড়া দেন। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্প্রতি তিস্তাসহ অভিন্ন নদীসমূহের পানি বন্টনের বিষয়ে তাদের অঙ্গিকার পূর্ণব্যক্ত করেছেন। আগামী অক্টোবরে ভারত সফরের সময় আমি ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করবো।
এসময় তিনি আরও জানান, ১৯৯৬ সালে আমরা সরকার গঠনের পরে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ৩০ বছর মেয়াদী গঙ্গার পানি বন্টন চুক্তি স্বাক্ষর করি যা ২০২৬ সাল পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। এছাড়া চলতি বছরের ৭-৮ আগস্ট ঢাকায় বাংলাদেশ ও ভারতের পানিসম্পদ সচিব পর্যায়ের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ বৈঠকে তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার, মনু, মুহুরী, খোয়াই, গোমতীসহ অভিন্ন নদীর পানি বন্টনের বিষয়ে একটি অন্তবর্তীকালীন চুক্তির খসড়া প্রস্তুত করার জন্য উভয় দেশের যৌথ নদী কমিশনের টেকনিক্যাল কমিটিকে নির্দেশনা দিয়েছি। এ জন্য একটি কারিগরি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা পানি বন্টন-ব্যবস্থাপণার উদ্দেশ্যে ড্রাফ্ট ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তির কাজ শুরু করেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের সুসম্পর্ক রয়েছে। দু’দেশের মধ্যে নিরাপত্তা, বাণিজ্য, বিদ্যুৎ জ্বালানি, আন্তঃযোগাযোগ, উন্নয়ন সহযোগিতা, পরিবেশ, শিক্ষা, অবকাঠামো উন্নয়ন, সংস্কৃতি, স্বাস্থ্য সেবাসহ বিভিন্ন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এছাড়া ব্লু ইকোনমি, পারমাণবিক শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহার, মহাকাশ গবেষণা, সাইবার নিরাপত্তা ইত্যাদি বিষয়ে দু’দেশের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান তিনি।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন