রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, মুজিববর্ষের কর্মসূচি উদযাপনের মধ্যদিয়ে দেশের জনগণ বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্ম সম্পর্কে জানতে পারবে।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির একটি প্রতিনিধি দল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘তরুণ প্রজন্ম ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জ্বীবিত হয়ে বিভিন্ন জাতিগঠনমূলক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে।’
সাক্ষাৎ শেষে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদিন এ সম্পর্কে সাংবাদিকদের অবহিত করেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকীর দিন ১৭ মার্চ বাঙালি জাতির জন্য শুধু একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন নয়, এটি আনন্দেরও দিন।
জয়নাল আবেদিন বলেন, সাক্ষাৎকালে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম এবং প্রধান সমন্বয়ক কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রকাশিত বিভিন্ন প্রকাশনা রাষ্ট্রপতির হাতে তুলে দেন।
প্রধান সমন্বয়ক কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী মুজিববর্ষ উপলক্ষে কমিটির গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচি সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন। তিনি রাষ্ট্রপতিকে জানান, করোনাভাইরাসের কারণে বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে মুজিববর্ষের কর্মসূচি পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে।
রাষ্ট্রপতিকে আরও জানানো হয়, বঙ্গবন্ধুর জন্মক্ষণ রাত ৮টা আতশবাজির মাধ্যমে উদযাপন করা হবে। এরপর রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রেকর্ড করা ভাষণসহ অন্যান্য আনুষ্ঠানিক কর্মসূচি একই দিন সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।
কামাল নাসের চৌধুরী বলেন, ব্যাপক জনসমাগম এড়িয়ে অন্যান্য কর্মসূচি পালন করা হবে। রাজধানীতে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে এবং গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় কর্মসূচি পালন করা হবে।
তিনি আরও বলেন, দেশব্যাপী দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। তবে শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানগুলোতে সীমিত আকারে কর্মসূচি পালন করা হবে।
এ সময় রাষ্ট্রপতির সংশ্লিষ্ট সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম