ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা, চিকিৎসা সেবা ও পুনর্বাসনে কার্যক্রমে সর্বাত্মকভাবে কাজ করবে আওয়ামী লীগ। দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে দলের কেন্দ্রীয় নেতারা উপকূলীয় এলাকার দল ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার সারাদিন ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কার্যালয়ে বসে কেন্দ্রীয় নেতারা ঘূর্ণিঝড়ের ফলে ক্ষয়-ক্ষতি পর্যবেক্ষণ করার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন। ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের ফলে যারা ঘর হারিয়েছেন তাদের সরকারের পাশাপাশি দলের পক্ষ থেকে ঘর করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন দলের শীর্ষ নেতারা।
সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত দলীয় সভানেত্রীর কার্যালয়ে উপস্থিত বিভিন্ন স্থানে টেলিফোন করে দিক-নিদের্শনা দেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।
এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, দলীয় সভানেত্রীর নির্দেশে সকাল থেকেই আমরা কেন্দ্রীয় নেতারা ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের আঘাতে সৃষ্ট ক্ষয়-ক্ষতি পর্যবেক্ষণ করি। সারাদিন ক্ষতিগ্রস্ত জেলার দলীয় নেতাকর্মী ও জনপ্রতিনিধির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছি। তাদের পুর্নবাসন, ঘর নির্মাণ, চিকিৎসা সেবা প্রদানসহ সব কার্যক্রমে সরকারের পাশাপাশি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগও অংশগ্রহণ করবে বলে জানাই।
যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানুষের হাত নেই। তবে আমাদের পূর্ব প্রস্তুতি থাকায় ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ অনেক কম হয়েছে। যারাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের পাশে দাঁড়াতে দলীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছি। একই সঙ্গে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গেও কথা বলেছি। পুনর্বাসনের সব ধরনের উদ্যোগ নিতে বলেছি।
আরেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, আওয়ামী লীগ এমন একটি রাজনৈতিক দল, যারা সরকারে কিংবা বিরোধীদলে থাকা অবস্থায় সব সময় জনগণের পাশে থাকে। করোনা মোকাবিলায় সরকারের পাশাপাশি দল হিসেবে আওয়ামী লীগ জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছি। আম্ফানের ফলে যারাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আমরা সাধ্যমতো পুর্নবাসন করবো।
বৈঠকে প্রসঙ্গে সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে আমাদের দলের নেতাকর্মীরা জনসাধারণকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসায় ক্ষয়-ক্ষতি কম হয়েছে।
আরেক সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন বলেন, উপকূলীয় ও ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার নেতাকর্মীদেরকে ফোন করে সামর্থ অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানো এবং যাদের ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে সেগুলো নির্মাণ করা এবং ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহত রাখার নিদের্শ দেওয়া হয়েছে।
দলের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী বলেন, আম্ফানের ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে সর্বাত্মকভাবে কাজ করবে আওয়ামী লীগ। দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ত্রাণ উপ-কমিটির সদস্য এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকবে। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা ও পুর্নবাসনের কাজ করে যাবে।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত