২৪ মে, ২০২০ ১৮:২২

ঘূর্ণিঝড় আম্ফান পরবর্তী ক্ষয়-ক্ষতি নির্ধারণ ও পূনর্বাসন বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঘূর্ণিঝড় আম্ফান পরবর্তী ক্ষয়-ক্ষতি নির্ধারণ ও পূনর্বাসন বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত

ঘূর্ণিঝড় আম্ফান পরবর্তী ক্ষয়-ক্ষতি নির্ধারণ ও পূনর্বাসন বিষয়ক সভা করেছে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়। আজ রবিবার দুপুরে রাজধানীর গ্রীণ রোডে যৌথ নদী কমিশনের সম্মেলন কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় জানানো হয়, উপকূলাঞ্চলে ব্যাপকভাবে শস্যহানি হয়নি, তবে প্রায় ১ লাখ লোক পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। যার মূল কারণ পানি নিষ্কাশন অব্যবস্থাপনা ও পুরাতন বাঁধ। এছাড়া খুলনার কয়রা, দাকোপ এবং সাতক্ষীরার শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলার আনুমানিক ১৭০ জায়গায় প্রায় ৯৯টি স্থানে বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়ের পর গত ২২ ও ২৩ মে আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্ত তিনটি জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা ও বাগেরহাট জেলা পরিদর্শন করেন পানি সচিব কবির বিন আনোয়ার। পরিদর্শনকালে স্থানীয় প্রতিনিধি, জেলা প্রশাসন এবং মোতায়েনকৃত সেনাপ্রতিনিধিদের সাথে সভা করেন পানি সচিব।

আজ ক্ষয়-ক্ষতি নির্ধারণ ও পূনর্বাসনের এই সভায় পানি সচিব তার সফর সম্পর্কে বিস্তারিত উপস্থাপন করেন।

এসময় পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক, পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক এ এম আমিনুল হক, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মাহমুদুল ইসলামসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক জানান, বাঁধ মেরামতের জরুরি কাজে সেনাবাহিনীর সহায়তা নেয়ার জন্য সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সে লক্ষ্যে আগামী ৩০মে'র মধ্যে সকল নির্বাহী প্রকৌশলীদের স্ব স্ব অধিক্ষেত্র সরেজমিন পরিদর্শন করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়ার জন্য নির্দেশনা দেন। পোল্ডারসমূহের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে ব্যাপকভাবে বৃক্ষরোপন করার নির্দেশনা দিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, আগামী ২৭ মে আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্ত খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর এলাকা সরেজমিনে দেখতে যাবেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক।

এর আগে গত ২২মে পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামসহ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা হেলিকপ্টারযোগে পরিদর্শন করেন।

বিডি প্রতিদিন/আরাফাত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর