সরকারের রাজস্ব খাতে নিয়োগ থেকে বাদ পড়া শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে কর্মরত স্বেচ্ছাসেবী মেডিকেল টেকনোলজিস্টরা রাজস্বখাতে নিয়োগবঞ্চিত হয়ে আমরণ অনশনে নেমেছেন। রাজধানীর মহাখালীতে শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল প্রাঙ্গনে গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে অনশন করছেন তারা।
এর আগে গত ৩১ আগস্ট দাবি আদায়ে আমরণ অনশনে যাওয়ার কথা ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীরা।
আমরণ অনশনকারী মেডিকেল টেকনোলজিস্টরা জানান, শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক ১৩ জন স্বেচ্ছাসেবী মেডিকেল টেকনোলজিস্টকে এ প্রতিষ্ঠানে বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ এর আরটি-পিসিআর পরীক্ষার সঙ্গে সংযুক্ত করেন। এ ছাড়া ডেঙ্গু শনাক্তকরণে এই প্রতিষ্ঠান গুরুত্বপূর্ণ সেবা দিয়ে থাকলেও এখানে কোনো রাজস্বখাতভুক্ত মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব) নেই।
অনশনকারীরা দাবি করছেন, এ প্রতিষ্ঠানে এমপি, মন্ত্রী, সচিব ও স্বনামধন্য ডাক্তার এবং দেশের প্রখ্যাত সাংবাদিকরা কোভিড-১৯ পরীক্ষা নির্ভরতার সঙ্গে করে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে প্রতিষ্ঠানটি চিকিৎসাখাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে সরকারকে সহযোগিতা করে যাচ্ছে।
শেখ হাসিনার সরকার এই কোভিড-১৯ এ সরাসরি যুক্ত মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের সরাসরি রাজস্বখাতে নিয়োগের জন্য প্রথম ধাপে ১৪৫ জন ও দ্বিতীয় ধাপে ৫৭ জনকে অনুমোদন দেয়। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো- দুই ধাপের ২০২ জনের নিয়োগে শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট হাসপাতালের ১৩ জন মেডিকেল টেকনোলজিস্টকে তালিকাভুক্ত করা হয়নি, যা আমাদের সঙ্গে একধরনের বৈষম্যমূলক আচরণ।
মেডিকেল টেকনোলজিস্টরা আরও বলেন, দুইধাপে রাজস্বখাতে নিয়োগপ্রাপ্ত ২০২ জন মেডিকেল টেকনোলজিস্টের ন্যায় শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট হাসপাতালে কর্মরত ১৩ জন মেডিকেল টেকনোলজিস্টকে নিয়োগ দিতে হবে। এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট জোড় দাবি জানাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা ছাড়া দাবি আদায়ে আমরা আমরণ অনশন চালিয়ে যাব।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ