প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন বলেছেন, সরকারের দেওয়া প্রণোদনার বেশিরভাগ টাকাই নিয়ে গেছেন বড় বড় ব্যবসায়ীরা। ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের ব্যবসা পুর্নগঠন না করলে করোনা মহামারির পর অর্থনীতি চাঙ্গা করা কঠিন হবে। তাই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য ঋণ সরবরাহ বাড়ানো উচিত। এইখাতে ঋণের সুদ ২ শতাংশের বেশি হওয়া উচিত নয়।
আজ বুধবার মতিঝিলের ফেডারেশন ভবনে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই) আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধুর ৪৬তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস-২০২১’ উপলক্ষ্যে ‘বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক দর্শন: শিল্প ও বাণিজ্য উন্নয়নে বাংলাদেশ’ শীর্ষক ভার্চুয়াল সেমিনারের মূল প্রবন্ধ পাঠ করে এ সব কথা বলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা তোফায়েল আহমেদ এমপি। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এমপি এবং প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালমান এফ. রহমান। স্বাগত বক্তব্য দেন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন বলেন, পাকিস্তানি শাসকদের শোষণ বঞ্চনা দেখে, ১৯৪৭ সাল থেকেই স্বাধীনতার বীজ বুনেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। নানা ঘাত প্রতিঘাত পার হয়ে দেশকে স্বাধীন করার পর, জাতির পিতা একটি শোষণ ও বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন। তাঁর অর্থনৈতিক দর্শনের মূল কথা ছিলো সাধারণ মানুষের মুক্তি।
সাবেক এই গভর্নর বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রচেষ্টায় একটি বড় দুর্বলতা বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির অপ্রতুলতা। বাস্তবায়ন এবং বছরের শেষের দিকে তাড়াহুড়ার খরচ। ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম দশ মাসে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির সংশোধিত বরাদ্দের মাত্র শতকরা ৬০ ভাগ বাস্তবায়িত হয়। আর মে-জুন মাসে খরচ হয় শতকরা ৪০ ভাগ। মে-জুনের বৃষ্টি আর বন্যার পানির নিচে আর নদী ভাঙন ও বাঁধের ফাটলে দেশের অর্থসম্পদের একটি অংশ তলিয়ে যায়, দেশের তেমন কোন উপকার হয় না। অনাচার রোধে জানুয়ারি-ডিসেম্বর অর্থবছর করার জোর সুপারিশ করেন তিনি।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা