শরীয়তপুরের জাজিরার সাত্তার মাদবর-মঙ্গলমাঝি ঘাটে ফেরিঘাট নির্মাণের কাজ শেষ। আজ জাজিরা শিমুলিয়া ফেরিঘাটে পরীক্ষামূলকভাবে চলবে ফেরি। পদ্মায় তীব্র স্রোতের কারণে পদ্মা সেতুর পিলারে ধাক্কা এড়াতে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথ বন্ধ করে দেয়ায় মাঝিরঘাট-শিমুলিয়া হচ্ছে ফেরি চলাচলের নতুন নৌপথ।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ২১ আগস্ট থেকে ফেরিঘাট নির্মাণের কাজ শুরু করে। গতকাল বুধবার বিকেলে ঘাটে পন্টুন স্থাপন করা হয়েছে। আজ ২৬ আগস্ট পরীক্ষামূলকভাবে চলাচল করবে ফেরি।
বিআইডব্লিউটিসির ঢাকা বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মতিউল জানান, বারবার পদ্মা সেতুর পিলারে ফেরির আঘাত রোধে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা অনুযায়ী এই ঘাট পরিবর্তন করা হয়েছে। তীব্র স্রোত না কমা পর্যন্ত শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে যাত্রী ও মালবাহী ফেরি চলাচল বন্ধ থাকবে। ততদিন এই পথ দিয়ে ছোট আকারের ফেরি চলবে। ফেরিগুলো পদ্মা নদীর চ্যানেল দিয়ে ভাটিতে যাবে। এতে সেতুর পিলারের সঙ্গে ধাক্কা এড়ানো যাবে।
বিআইডব্লিউটিএর ঢাকা বিভাগীয় সহকারী কারিগরি প্রকৌশলী ফয়সাল হোসেন জানান, ২৭ আগস্ট আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের জন্য দ্রুত ঘাট নির্মাণের কাজ চলছে। এই নৌপথ দিয়ে ছোট আকারের ফেরিতে শুধু অ্যাম্বুলেন্স, লাশবাহী গাড়ি ও সরকারি কাজে ব্যবহৃত গাড়ি পারাপার করা হবে। জাজিরার সড়ক সরু ও ভারি যানবাহন চলাচলের উপযোগী নয় তাই এখনই সব যানবাহন চলাচল সম্ভব নয়। সড়ক প্রশস্ত হলে সব যানবাহন পার করা হবে কি না সে বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
এদিকে ১৮ আগস্ট থেকে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথ বন্ধ থাকায় এই পথের যাত্রীরা পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া পথ ব্যবহার করছেন। বাড়তি চাপে সেখানে তৈরি হচ্ছে যানবাহনের দীর্ঘ সারি। ফেরি পারের জন্য ঘাটে অনেক সময় ধরে অপেক্ষা করতে হচ্ছে যাত্রীদের। এখন পর্যন্ত পদ্মা সেতুর পিলারে তিনবার ফেরির ধাক্কা লেগেছে।
২৩ জুলাই নির্মাণাধীন সেতুটির ১৭ নম্বর পিলারের সঙ্গে শাহজালাল নামের একটি রো রো ফেরির ধাক্কা লাগে। এতে ফেরিটির অন্তত ২০ যাত্রী আহত হন। এরপর ৯ আগস্ট বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর নামের আরেকটি রো রো ফেরি ১০ নম্বর পিলারে ধাক্কা দেয়। ১০ নম্বর পিলারেই ১৩ আগস্ট কাকলি নামের একটি ফেরি ধাক্কা দেয়। তীব্র স্রোতের কারণে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে বলেছে কর্তৃপক্ষ থেকে জানানো হয়।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল