
Writ-5510/2021:
Pending hearing of the Rule, the respondents concerned are hereby directed to take immediate steps by providing securities and other arrangements to the Chairman of every Upazilla Parishad as being the head of the respective administrative unit of the Republic and being the elected representative of the people like that of the securities and other arrangements so have been provided to the Upazilla Nirbahi Officers vide Memo No.44.00.0000.077. 54.001.18.309 dated 04.09.2020 issued by the Ministry of Home Affairs (Annexure-B), Memo No.46.00.0000.046.26.487. 2012 (Part-1)-919 dated 17.11.2020 issued under the signature of Deputy Secretary, Ministry of LGRD (Annexure-Q) and Memo No.46.00.0000.046.26.487.2012 (Part-1)-272 dated 29.03.2021 issued by the Ministry of the Local Government, Rural Development and Co-operatives (Annexure- B1).
Also, to take immediate steps by labelling every signboard of the office of the respective Upazilla Parishad in the Republic in accordance with law.
The Rule is made returnable within 4 (four) weeks from date. Let the notice be served upon the respondents by usual course as well as by registered posts with acknowledgment receipt at the costs of the petitioners.
Writ-9593/2020:
In any case, we don't find any substance in the submission so placed by the learned Deputy Attorney-General.
In the result, the application is allowed.
The respondent nos. 1-4 are hereby directed to take necessary steps in implementing the respective provision provided in S.R.O. No. স্থাসবি/উপ-২সি-৪/২০০৯/১৪২২, dated 17.06.2010 (Annexure-B to the writ petition) as well as amended Rules of 2010 (Annexure-C-1 to the writ petition) by the UNOs and other functionaries immediately in default, the respondent nos. 1-2 are at liberty to take appropriate step or steps against the wrongdoers in accordance with law.
The respondent no. 2 is hereby directed to issue a circular mentioning the above order of this court in implementing the circular and ruled transmitting it to all the UNOs and Upazilla Chairmen across the country for compliance with a period of 3 (three) months from the date of receipt of the copy of this order.
The petitioners are also at liberty to bring it to the notice of this court if they ever find violation of the direction made hereinabove by any authority concerned.
Office is directed to transmit the copy of this order to the respondents right away.
আজ আপনাদের মাধ্যমে সরকার, দেশ ও জাতিকে আমরা অবহিত করতে চাই যে, জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে আমরা আজ কর্ম, মর্যাদা ও ব্যক্তিত্বহীন হয়ে পড়েছি, শুধু একটি ক্যাডারের কর্মচারীদের আইন প্রতিপালন না করার কারণে। এমনকি হাই কোর্ট ১০ কর্ম দিবসের মধ্যে রুলনিশির জবাব দানের নির্দেশনার কোন জবাব দেওয়া হয়নি যা আদালতের প্রতি অবজ্ঞা।
দীর্ঘদিন পর যে ৩টি নির্দেশনা চলতি বছরের ৩ অক্টোবর একই দিনে স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে জারি করা হয়েছে (কপি সংযুক্ত) সেটাকে আমরা ইতিবাচকভাবে নিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামসহ তার মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ জানাই। অতীতে অনেক নির্দেশনা বিগত ১২ বছরে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া হলেও আজও কার্যকর হয়নি। যার মূল অন্তরায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয় কর্তৃক উপজেলা পরিষদ আইনকে বিবেচনা না করে পৃথক পৃথক পরিপত্র জারি করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে ১৭টি বিভাগসহ ১৪০টি কমিটির সভাপতি করে তাদেরকে অনুমোদনের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, তাই কার্যকর নির্দেশনা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ হতে জারি করার জন্য পুনরায় অনুরোধ করছি। আমরা জাতির পিতার আদর্শে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কর্মী, যেকোনো ত্যাগ স্বীকার ও দায়ীত্ব পালনে সদাসচেষ্ট।
ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসারের প্রকৃত ঘটনা সকলেরই জানা, অথচ একদিন সময় লাগেনি ঘটনা কৌশলে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করে দেশের সকল উপজেলা নির্বাহী অফিসারের ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য ১৫ সদস্যের সশস্ত্র আনসার নিয়োগ দিতে। একজন মানুষের জন্য বিকল্প পুলিশ থানার ন্যায় ১৫ জন সশস্ত্র আনসার প্রদান আইনের পরিপন্থী। এখানে বিবেচনা করা হয়নি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি এবং উপজেলায় কর্মরত ২৬ ক্যাডারের অন্যান্য কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা। উপজেলা পরিষদ জনগণকে সাথে নিয়ে উপজেলায় কর্মরত প্রজাতন্ত্রের সকল কর্মচারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর।
বিরাজমান বৈশ্বিক করোনার মধ্যে স্থানীয় সরকারের ৬৫ হাজার জনপ্রতিনিধির মধ্যে মাত্র ০.৩% সদস্য অনিয়োমের সাথে জড়িত হওয়ায় তাদের অপসারণ করা হয়েছে। অথচ সরকারী কর্মচারীদের এরূপ অবিরাম আইন অমান্যের বিরুদ্ধে কথা বললে কথায় কথায় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানদের বিচার বিভাগীয় চার্জ গঠনের পূর্বেই নির্বাহী আদেশ দ্বারা অপসারণ করা হয়। যা সম্পূর্ণ সংবিধান বিরোধী।
প্রায় একযুগ যাবৎ প্রশাসনিক কর্মচারীদের উপজেলা পর্যায়ে আইন অমান্য যা আমাদের সংবিধানের ৭(২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তিযোগ্য অপরাধ, সে বিষয়ে আজ পর্যন্ত কোন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নিয়ে বরং তাদেরকে আইন বিরোধী বিভিন্ন পরিপত্র জারি করে ক্ষমতা দিয়ে উৎসাহিত করা হয়। আমাদের কাছে তিনটি বিষয় স্পষ্ট যে:
১) ১৯৯১ সনে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসে বিএনপি সরকার কলমের এক খোঁচায় নির্বাচিত উপজেলা পরিষদকে বিলুপ্ত করেছিলো, হয়তো বা একই উদ্দেশ্যে কতিপয় বিশেষ কর্মচারীরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রবর্তিত নির্বাচিত উপজেলা পরিষদের মাধ্যমে তৃণমূলে জনপ্রতিনিধির শাসন ব্যবস্থার অবসান চায়। সরকারকে প্রতিনিধিত্ব করবে নিম্নস্তরে নির্বাচিত প্রতিষ্ঠান। যা মুক্তিযুদ্ধর চেতনা ও গণতন্ত্রী বিরোধী সাম্প্রদায়িক একটি গোষ্ঠীর ন্যায়, একটি বিশেষ শ্রেণিও চাচ্ছে না। তাই, নির্বাচিত উপজেলা পরিষদ উপেক্ষিত। আমরা মনে করি জনপ্রতিনিধিবিহীন জনপ্রশাসন পরিচালনার দুরভিসন্ধি।
২) উপজেলা পরিষদ আইন কার্যকর করতে প্রধান অন্তরায়, সুকৌশলে উপজেলা পরিষদ আইনকে বিবেচনায় না নিয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় কর্তৃক উপজেলা পর্যায়ে ইউএনওকে ১৪০টি কমিটির সভাপতি করা যার মধ্যে হস্তান্তরিত ১৭টি বিভাগের কমিটি সমূহ উল্লেখযোগ্য। যাহা আইন ও সংবিধানবিরোধী।
৩) নির্বাচিত সরকারের কাছে আরেকটি নির্বাচিত সরকার দায়িত্ব অর্পণ করবেন, এটাই সাংবিধানিক নির্দেশনা, অথচ সাম্প্রতিককালে স্থানীয় সরকারের মেয়াদান্তে প্রশাসক নিয়োগের যে উদ্যোগ ইহা অসাংবিধানিক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রতিধ্বনি। এটাও সরকারের অভ্যন্তরে সংবিধানবিরোধী রাজনৈতিক গোষ্ঠিকে সমর্থন দান ও জনপ্রতিনিধিদের শাসন বিরোধী বিশেষ গোষ্ঠির একটি উদ্যোগ বলে আমরা মনে করি।
তাই, আমরা বিনীতভাবে বলতে চাই, জনপ্রতিনিধি ও প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের সাথে আমরা একযোগে আইন অনুযায়ী কাজ করতে চাই। যারা একদিন জাতির পিতা প্রবর্তিত জেলায় জেলায় জনপ্রতিনিধি শাসন মেনে নেয় নাই, ১৯৯১ সনে যারা কলমের এক খোঁচায় উপজেলা পরিষদ আইন বিলুপ্ত করেছিল, যারা অসাংবিধানিকভাবে জনপ্রতিনিধি স্থলে প্রশাসক চায় তাদের বিষয়ে সরকারকে আরও সচেতন হওয়ার অনুরোধ জানাই। আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন ও সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী উপজেলা পরিষদকে কার্যকর করতে সকল শ্রেণী ও পেশার মানুষের সমর্থন ও সহযোগিতা চাই। ইতি মধ্যেই স্থানীয় সরকারের অন্যান্য সকল স্তরের প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় করেছি এবং তারা আমাদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন। এজন্য সকলকে জানাই ধন্যবাদ।
কর্মসূচি
১) ১১ নভেম্বর থেকে দেশের বিভাগসমূহে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ কর্তৃক সফর ও বিভাগীয় নেতৃবৃন্দ কর্তৃক জেলা সমূহে এবং জেলা নেতৃবৃন্দ কর্তৃক উপজেলা পর্যায়ে সাংগঠনিক সফর ও জনসম্পৃক্ততা সৃষ্টিতে বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষের সাথে মতবিনিময় ও অন্যান্য কার্যক্রম গ্রহণ।
২) আমরা নির্বাহী বিভাগে নির্বাচিত হয়েছি নিয়মিত জনগণের কাজ করার জন্য, উপজেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যানসহ ২জন নির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান বিদ্যমান, দৈনন্দিন কার্যপরিচালনায় কোনরূপ অসুবিধা হবার সুযোগ নাই, আমরা কেউই আইনের উর্দ্ধে নই। সংবিধান, আইন, মহামান্য আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী সংশোধিত তৃতীয় তফসিলে উল্লেখিত ১৭টি বিভাগের কার্যক্রম উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের অনুমোদনক্রমে দৈনন্দিন কার্যক্রম সম্পাদন অবিলম্বে কার্যকর করা হোক, এলক্ষ্যে দ্রত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা খুবই প্রয়োজন। ১৭টি বিভাগের মন্ত্রনালয় ও অধিদপ্তর কর্তৃক গঠিত উপজেলাধীন কমিটি সমূহ দ্রুত উপজেলা পরিষদ আইনের আলোকে সংশোধন করে বিদ্যমান প্রতিকূলতা দূর করা হোক।
তারা আরও বলেন, এরপরও যদি নির্বাচিত উপজেলা পরিষদ কে কার্যকর করতে কোন প্রতিকূলতা পরিলক্ষিত হয় তাহলে, সকল উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় সরকারের অন্যান্য স্তরের সতীর্থদের প্রতিনিধিত্বসহ আগামী বছরের ১৬ জানুয়ারি ঢাকায় জাতীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে, যেখান থেকে কার্যকর কর্মসূচি ঘোষণা করা হইবে।
উল্লেখ্য, এ উপজেলা পরিষদে নির্বাচিতগণ- মুক্তিযোদ্ধা, আইনজীবী, কৃষিবিদ, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, সকল স্বৈরাচার বিরোধী সফল আন্দোলনের সাবেক ছাত্র নেতৃবৃন্দ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সংগঠন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনসমূহের বিভিন্ন স্তরের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ উচ্চশিক্ষিত সম্মানিত রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।