বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা প্রসঙ্গে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করে বলেছেন, ‘দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়া প্রয়োজন। কিন্তু এই সরকার তা করছে না। দেশে তার পর্যাপ্ত চিকিৎসার সুযোগ নেই।’
আজ শনিবার রাজধানীর নয়াবাজারে ঢাকা মহানগর বিএনপির ৩৫নম্বর ওয়ার্ডের কর্মী সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। কর্মসূচিতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম, সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম মজনু প্রমুখ।
শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য আবারও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে। শনিবার সন্ধ্যায় তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এর আগে বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে হাসপাতালে পৌঁছান খালেদা জিয়া। পরে তাকে হাসপাতালটির ব্লক ‘বি’-এর সাত হাজার ২০৫ নম্বর কেবিনে ভর্তি করা হয়। তিনি আথ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, দাঁত, চোখের প্রদাহ, হৃদরোগসহ বয়সজনিত নানা জটিলতায় ভুগছেন বলে জানা গেছে।
তৃতীয় দফায় আজ খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়ার বিষয়ে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ম্যাডামের কিছু শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা প্রয়োজন। এজন্য তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।’
এর আগে জ্বরে আক্রান্ত হলে, গত ১২ অক্টোবর খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর ৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় তাকে বাসায় নিয়ে আসা হয়। তার আগে করোনায় আক্রান্ত হলে, ২৭ এপ্রিল তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে ১৯ জুন রাতে গুলশানের বাসভবনে ফেরেন খালেদা জিয়া।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ