৯ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৩:২৮

বিএনপির এমপি হারুনের সাজা কমিয়ে আপিল খারিজ

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির এমপি হারুনের সাজা কমিয়ে আপিল খারিজ

মো. হারুনুর রশীদ হারুন। ফাইল ছবি।

শুল্ক ফাঁকির অভিযোগে দুদকের মামলায় বিএনপির সংসদ সদস্য (এমপি) হারুন অর রশীদসহ তিনজনের দণ্ডের বিরুদ্ধে করা আপিল আবেদন খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট। তবে তাদের সাজাও কমিয়ে দিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. সেলিমের বেঞ্চ এ রায় দেন।

রায়ে আদালত বলেছেন, তাদের বিচারিক আদালতের দেওয়া সাজা কমিয়ে এ মামলায় তিন আসামি যতদিন কারাভোগ করেছেন ততদিন সাজা হিসেবে গণ্য হবে। ফলে তাদের এখন আর জেলে যেতে হবে না বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

আদালতে এই সংসদ সদস্যের পক্ষে শুনানি করছেন আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন, সৈয়দ মিজানুর রহমান ও এইচ এম সানজীদ সিদ্দিকী। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।

মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, হারুন অর রশীদের সাজা মডিফাই করে তাকে সার্ভ আউট অর্থাৎ এই মামলায় তিনি প্রায় ১৬ মাস জেলে ছিলেন। এই ১৬ মাস সাজা বহাল রাখা হয়েছে। সাজা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে আমরা বিক্ষুব্ধ। উনি নির্দোষ। উনি গাড়ি বিক্রি করেনি। কোনো অপরাধ করেনি। তাই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আপিল করব।

২০১৯ সালের ২১ অক্টোবর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম শুল্ক ফাঁকির অভিযোগে দুদকের মামলায় তাকে ৫ বছরের দণ্ড দেন। কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাকে ৫০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।  পরে এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন হারুন।

এছাড়া এই মামলায় চ্যানেল নাইনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এনায়েতুর রহমান বাপ্পীকে দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও একলাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

মামলার অপর আসামি ইশতিয়াক সাদেককে তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৪০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। পরে আসামিদের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে অর্থদণ্ড স্থগিত করেন। পাশাপাশি তাদের জামিন দেন উচ্চ আদালত।

মামলার অভিযোগ অনুসারে, বিএনপি জোট সরকারের সময় এমপি থাকাকালে ২০০৫ সালে ব্রিটেন থেকে একটি হ্যামার ব্র্যান্ডের গাড়ি শুল্কমুক্ত সুবিধায় কেনেন। গাড়িটি তিনি পরে ইশতিয়াক সাদেকের কাছে ৯৮ লাখ টাকায় বিক্রি করে দেন। এরপর সাদেক গাড়িটি চ্যানেল নাইনের এমডি বাপ্পীর কাছে বিক্রি করেন।

নিয়ম অনুযায়ী, শুল্কমুক্ত গাড়ি তিন বছরের মধ্যে বিক্রি করলে শুল্ক দিতে হয়। কিন্তু এমপি হারুন শুল্ক না দিয়ে বিশ্বাস ভঙ্গ করেছেন। এই অভিযোগে ২০০৭ সালের ৭ মার্চ এমপি হারুনসহ তিনজনের নামে এ মামলা দায়ের করেন তেজগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক ইউনুস আলী।

এ মামলায় ২০০৭ সালের ১৮ জুলাই তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়। একই বছর তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। ১৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এ রায় দেন। হারুন অর রশীদ ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচিত হন। 

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর