বিদ্যুৎ ও গ্যাসসহ বিভিন্ন খাতে ভর্তুকি কমানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রাথমিকভাবে বাণিজ্যিক খাত বিশেষ করে যেখানে বড় বড় শিল্প কারখানা গড়ে উঠছে এসব স্থানে ধীরে ধীরে গ্যাস ও বিদ্যুতে ভর্তুকির কমাতে বলেছেন তিনি।
মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় বিভিন্ন খাতে ভর্তুকি দেওয়ার বিষয়টি আলোচনায় এলে এ নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী।
শেরে বাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে সংযুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী এবং একনেকের চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা।
সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা তুলে ধরেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বড় বড় খাতে যারা বিদ্যুৎ ও গ্যাস ব্যবহার করেন তারা গরিব নয়। গুলশানে যারা বসবাস করেন তারা গরিব নয়। সেজন্য প্রাথমিকভাবে বড় বড় শিল্প খাতের গ্যাস ও বিদ্যুতে ভর্তুকি কমাতে বলেছেন। এছাড়া ভর্তুকি কমানোর কৌশল বের করতে বলেছেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ভর্তুকি কোনো সভ্য দেশের সমাধান নয়। তাই ধীরে ধীরে গ্যাস-বিদ্যুতের ভর্তুকি থেকে সরে আসতে হবে। তবে কৃষি ও নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য গ্যাস-বিদ্যুতে ভর্তুকি অব্যাহত থাকবে। তবে বড়লোকদের জন্য ধীরে ধীরে ভর্তুকি উঠে যাবে।
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, ‘কৃষি ভর্তুকি নিয়ে কোনো কথা হয়নি। এখানে মনে রাখতে হবে কৃষি ভর্তুকি কিন্তু অব্যাহত থাকবে। এখানে বলা হয়নি ভর্তুকি উঠিয়ে নেওয়া হবে; এটাকে বিনিয়োগ হিসেবে দেখি আমরা, উৎপাদন ব্যবস্থা সহায়ক। আমেরিকা যে পরিমাণ ট্যাক্স আদায় করে কৃষকদের কাছ থেকে আমাদের দেশে কিন্তু কৃষিতে ট্যাক্স নেই, এটাও মনে রাখতে হবে।’
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন