আগামী ডিসেম্বরে আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে জানিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘আমাদের জাতীয় সম্মেলন আগামী ডিসেম্বর মাসে হওয়ার কথা। তিন বছর পর পর আমাদের সম্মেলন হয়, সেই হিসেবে আগামী ডিসেম্বরে আমাদের নির্ধারিত সময়। সেই সম্মেলনের প্রস্তুতি আমরা নিচ্ছি।’
ওবায়দুল কাদের আজ শনিবার সকালে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ ও নবায়নের লক্ষ্যে সাংগঠনিক ইউনিটগুলোর মধ্যে সদস্য সংগ্রহ বই বিতরণ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন।
আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের আগে ছাত্রলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ ও তাঁতি লীগের সম্মেলন হবে কি না- প্রশ্নে জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের সহযোগী সংগঠন যাদের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে, তাদেরও সম্মেলন অনুষ্ঠান করতে হবে এবং এ ব্যাপারে নির্দেশ দেয়া যাচ্ছে।
অনতিবিলম্বে সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করে সম্মেলন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিতে তাদেরকেও নির্দেশ দেয়া যাচ্ছে।
দেশে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে গণতন্ত্রের চর্চা আওয়ামী লীগেই হয় বলে দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি দাবি করতে পারি, আওয়ামী লীগই এই দেশের একমাত্র রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান, যেই প্রতিষ্ঠান তার অভ্যন্তরীণ গণতান্ত্রিক চর্চা সব সময়ই করে আসছে। বাধা, প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও আওয়ামী লীগ ঘরোয়া কার্যক্রম, সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করেছে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে সারা দেশে জেলা, উপজেলা, ইউনিয়নের সকল পর্যায়ে সাংগঠনিক শাখা সমূহের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সময়মতো এই সম্মেলনগুলো সম্পন্ন করবেন।
এ সময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, এসএম কামাল হোসেন, এডভোকেট আফজাল হোসেন ও শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত