ঢাকায় প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে ব্যবহার হবে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপের উৎপাদিত পণ্য বসুন্ধরা বিটুমিন। মেগা প্রকল্প ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার নতুন দিগন্তের সূচনা করবে। এই এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে বসুন্ধরা বিটুমিন সরবরাহ করতে শনিবার বসুন্ধরা ইন্ডাস্ট্রিয়াল হেডকোয়ার্টার-১ এ চুক্তি সই হয়েছে।
বসুন্ধরা বিটুমিনের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সচিব মাকসুদুর রহমান এবং এসডিআরবি (শানডং হাই-স্পিড রোড অ্যান্ড ব্রিজ কোং লিমিটেড) ও সিনোহাইড্রো জেভির পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির উপ-মহাব্যবস্থাপক লিউ জিং।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা বিটুমিনের এজিএম (সেলস) সুকান্ত কুমার সাহা ও বসুন্ধরা গ্রুপের ডেপুটি ম্যানেজার এজেএম ওবায়দুর রহমান। সেনোহাইড্রোর ম্যাটেরিয়াল প্রকিউরমেন্ট বিভাগের উপ-পরিচালক কিউ রেনহাই ও প্রকিউরমেন্ট বিভাগের সামসুন নাহার নিপা।
চুক্তি স্বাক্ষর শেষে মাকসুদুর রহমান বলেন, ঢাকা প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ৪০ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়ক নির্মাণে বসুন্ধরা বিটুমিন ৬০/৭০ গ্রেড ব্যবহার নিয়ে এসডিআরবি ও সেনোহাইড্রোর সঙ্গে বসুন্ধরা বিটুমিনের চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী আমরা এই প্রকল্পে বসুন্ধরা বিটুমিন সরবরাহ করবো।
লিউ জিং বলেন, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে আমরা ইতিমধ্যে বসুন্ধরা সিমেন্ট ব্যবহার করছি। বসুন্ধরা সিমেন্টের মান অনেক ভালো হওয়ায় বিটুমিন ব্যবহারের ক্ষেত্রেও বসুন্ধরা বিটুমিন ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই চুক্তির মাধ্যমে পরীক্ষামূলকভাবে বসুন্ধরা বিটুমিন ব্যবহারের কার্যক্রম শুরু হলো।
উল্লেখ্য, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হচ্ছে বাংলাদেশের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে শুরু হয়ে কুড়িল, বনানী, মহাখালী, তেজগাঁও, মগবাজার, কমলাপুর, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ি হয়ে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী এলাকায় গিয়ে শেষ হবে এই প্রকল্প। এর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে- আট হাজার ৯৪০ কোটি টাকা। মূল উড়াল সড়কে ওঠা নামার জন্য ২৭ কিলোমিটার দীর্ঘ ৩১টি র্যাম্প থাকবে। র্যাম্পসহ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মোট দৈর্ঘ্য ৪০ কিলোমিটারে বেশি।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন