ভারত ও বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়ে প্রতিবেদনের জন্য ইমক্যাব অ্যাওয়ার্ড পেল নিউজ টোয়েন্টিফোরের টিম আন্ডারকভার ও বিশেষ প্রতিনিধি আশিকুর রহমান শ্রাবণ। ২০১৯ সালের কাজের জন্য তিনি এই পুরস্কার পান।
শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ঢাকা ক্লাবের স্যমসন এইচ চৌধুরী সেন্টারে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ পুরস্কার দেওয়া হয়। এ সময় ২০২০ সালে প্রথম আলোর সাংবাদিক রাহীদ এজাজ এবং ২০২১ সালে নিউজনাওবাংলা.কমের সাংবাদিক শামীমা দোলাকেও এই পুরস্কার দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিমসহ বাংলাদেশ ও ভারতের আমন্ত্রিত অতিথিরা।
অনুষ্ঠানে বিক্রম দোরাইস্বামী বলেন, সাংবাদিকরা সবসময় একটি দেশকে জাগিয়ে রাখেন। আজকে পুরস্কার প্রাপ্তররাসহ সব সাংবাদিক সেই কাজটি খুব ভালোবেসে করে থাকেন। তারা একটি দেশের পরিবর্তন আনতে সহায়ক। পুরো বিশ্বের মধ্যে তারা নিজেদের দেশকে জাগিয়ে রেখেছেন দীপ জ্বেলে। বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কও অনেক ভালো এবং বন্ধুত্বপূর্ণ হওয়ায় তারা একসঙ্গে অনেক কাজের সুযোগ পায়। স্বাধীনতার শক্তিকে অন্যতম শক্তি মেনে এই সাংবাদিকরা নিজেদের দেশের মতো দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। দুই দেশের জনগণই নিজেদের মধ্যে শিক্ষা, সংস্কৃতি, ব্যবসার বিনিময়ও অনেক। আমাদের মধ্যে মেজর কোনো ইস্যু নিয়ে বিরোধ নেই। এই সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে আমি আশা করি।
অনুষ্ঠানে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের দেশে অনেকেই রাজনৈতিক কারণে ভারত বিরোধিতা করেন। তবে ভারতের মতো প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে বিরোধ করে আমাদের মতো রাষ্ট্রের উন্নয়ন সম্ভব নয়। ভারত ও বাংলাদেশ নিয়ে যেন কোনো মতবিরোধ না হয়, সেটি নিয়ে সাংবাদিকরা বলতে পারেন। আমাদের দেশেও রাজনৈতিক নেতা আছে, সেখানেও আছে। ফয়দা লুটার জন্য অনেকেই অনেক কথা বলেন। সেটিকে মূখ্য করে সংবাদ পরিবেশন করা কোনো সঠিক সংবাদ নয়। আপনারা আরও ভালো কাজ করবেন এবং আজকের এই আয়োজন দুই দেশের সম্পর্ক আরও উন্নত করবে এটাই প্রত্যাশা।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে এহসানুল কবীর বলেন, ভারত ও বাংলাদেশ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অনেক বেশি ভালো। এই সম্পর্ক আগামীতে আরও উন্নত হবে বলে প্রত্যাশা করছি। পুরস্কার প্রাপ্তদের প্রত্যেককে একটি ক্রেস্ট, সার্টিফিকেট, ৫০ হাজার টাকা সম্মানী দেওয়া হয়।