শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন জানিয়েছেন, বিদেশ থেকে ইউরিয়া সার আমদানি করা হয়। অতিরিক্ত বরাদ্দসহ বর্তমানে দেশে সারের চাহিদা ২৬ লাখ ৭৯ হাজার ১০০ মেট্রিক টন। বর্তমান অর্থ বছরে দেশের সার কারখানায় বার্ষিক ৯.৫০ লাখ মেট্রিক টন লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে চলতি বছরের ১৮ জুন পর্যন্ত ৯ লাখ ৮৫ হাজার ৮৮৯ মেট্রিক টন সার উৎপাদন হয়েছে। সে হিসেবে দেশে ১৬ লাখ ৯৩ হাজার ২০৭ মেট্রিক টন সারের ঘাটতি রয়েছে। মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে এসব কথা বলেন তিনি।
সংসদে মন্ত্রীর দেওয়া কারখানা-ওয়ারী হিসাব অনুযায়ী, শাহজালাল ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড উৎপাদন করেছে, ৪,১৯,৯০৭ মেট্রিক টন। যমুনা ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড উৎপাদন করেছে, ২.৪১,৩৯৯ মেট্রিক টন। চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেড উৎপাদন করেছে ২,৩১,৩৮৭ মেট্রিক টন। আশুগঞ্জ ফার্টিলাইজার এন্ড কেমিক্যাল কোম্পানি লিমিটেড উৎপাদন করেছে ৯৩,১৯৬ মেট্রিক টন।
সরকারি দলের সদস্য মোরশেদ আলমের (নোয়াখালী-২) প্রশ্নের জবাবে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন সংসদে জানান, বিসিআইসির নিয়ন্ত্রিত চালু কারখানার মধ্যে ৭টি লোকসানি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এগুলো হলো : শাহজালাল ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড, চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেড, আশুগঞ্জ ফার্টিলাইজার এন্ড কেমিক্যাল কোম্পানি লিমিটেড, কর্ণফুলী পেপার মিলস লিমিটেড, ছাতক সিমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড, বাংলাদেশ ইন্সুলেটর এন্ড স্যানেটারিওয়্যার ফ্যাক্টরি লিমিটেড এবং উসমানিয়া গ্লাসশীট ফ্যাক্টরি লিমিটেড। এছাড়া বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের ১৪টি চিনিকল ও একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কারখানাসহ মোট ১৫টি লোকসানি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।এসময় শিল্পমন্ত্রী সংসদে জানান, এসব লোকসানি প্রতিষ্ঠানগুলো বেসরকারি খাতে হস্তান্তর করার পরিকল্পনা সরকারের নাই।
বিডি প্রতিদিন/এমআই