সদ্য সমাপ্ত জনশুমারি ও গৃহগণনা কর্মসূচিতে ব্যবহৃত সফটওয়্যারের ক্রয় প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চেয়েছিল সংসদীয় কমিটি।
বৈঠকে জানানো হয়, আইসিটি টেকনোলজি সংক্রান্ত কোন দেশীয় প্রযুক্তির সফটওয়্যার নেই বিধায় বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো বিদেশি সফটওয়ার ব্যবহার করছে। এ জন্য আন্তর্জাতিক টেন্ডার আহ্বান করে কোয়ালিটি অ্যান্ড কস্ট বেইজ সিলেকশন পদ্ধতিতে ক্রয় করা হয়। এ সফটওয়্যার কিনতে খরচের পরিমাণ ২০ লাখ মার্কিন ডলার।
কমিটি এসব বিদেশি সফটওয়্যারের ক্রয় প্রক্রিয়ার বিশদ বিবরণ আগামী বৈঠকে উপস্থাপনের জন্য সুপারিশ করেছে।
সংসদ ভবনে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি’র বৈঠকের কার্যপত্র থেকে এসব তথ্য পাওয়া যায়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ। পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান, মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম, বীর উত্তম, সাবের হোসেন চৌধুরী, হাফিজ আহমদ মজুমদার, বীরেন শিকদার এবং মাশরাফি বিন মোর্ত্তজা বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
কার্যপত্র থেকে আরো জানা যায়, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো এবার প্রথম ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনায় গণনাকারীর হাতে জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সিস্টেম (জিআইএস) যুক্ত ট্যাব সরবরাহ করে। ট্যাবে এমন সফটওয়্যার যুক্ত করা হয়েছে, যাতে সব তথ্য পূরণ না করে কিংবা কোনও খানা থেকে তথ্য না নিয়ে সংশ্লিষ্ট গণনাকারী ‘কাজ শেষ’ বলে ট্যাব জমা দিতে পারবেন না।
বৈঠকে আরো জানানো হয়, বর্তমানে প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ব্যয়ে যে সমস্ত বিদেশি সফটওয়্যার ব্যবহার করা হচ্ছে, উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম ক্রয়ে এককালিন ব্যয় এক লাখ টাকা। মাইক্রোসফট অফিস ক্রয়ে এককালীন ব্যয় তিন লাখ টাকা। এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার ক্রয়ে এককালীন ব্যয় ৭০ হাজার টাকা। দেশীয় এসব সফটওয়্যার নেই বিধায় বিদেশি সফটওয়্যার ক্রয় করে ব্যবহার করা হয়।
সংসদ গণসংযোগ বিভাগ জানায়, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো-তে ব্যবহৃত বিদেশি সফটওয়্যারের ক্রয় প্রক্রিয়ার বিশদ বিবরণ আগামী বৈঠকে উপস্থাপনের জন্য কমিটি কর্তৃক সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে বাস্তবায়ন পরীবিক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) এর সচিব, পরিকল্পনা বিভাগের সচিব, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য, শিল্প ও শক্তি বিভাগের সদস্যসহ, দপ্তর প্রধানরাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন