২২ মার্চ, ২০২৩ ১৭:২৯

'অনিয়ম হলে গাইবান্ধার উপনির্বাচনের মতো জাতীয় নির্বাচনও বাতিল করে দেবো'

অনলাইন ডেস্ক

'অনিয়ম হলে গাইবান্ধার উপনির্বাচনের মতো জাতীয় নির্বাচনও বাতিল করে দেবো'

বেগম রাশেদা সুলতানা (ফাইল ছবি)

নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা বলেছেন, অনিয়ম হলে গাইবান্ধার উপনির্বাচনের মতো জাতীয় নির্বাচনও বাতিল করে দেবো। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যা প্রয়োজন হবে, আমরা সকল ব্যবস্থা নেবো।

আজ বুধবার নির্বাচন ভবনের নিজ দফতরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

২০২২ সালের ১২ অক্টোবর অনুষ্ঠিত গাইবান্ধা-৫ উপ-নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম সিসি ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণের পর সিইসি প্রথমে ৫০টি কেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করেন। এরপর রিটার্নিং কর্মকর্তাও একটি কেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করেন। পরে ভোটগ্রহণের যৌক্তিকতা না থাকায় পুরো নির্বাচন বন্ধ করে দেয় ইসি। এরপর গঠিত তদন্ত কমিটি ৬৮৫ জনের শুনানি নিয়ে ব্যাপক অনিয়মের প্রমাণ পায় ওই ৫১ কেন্দ্রে। এছাড়া অবশিষ্ট কেন্দ্রগুলোর সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখেও অনিয়মের প্রমাণ পায় তদন্ত কমিটি।

পরে সেই কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে গাইবান্ধার এক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, পাঁচ এসআই, নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ ১৩৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বরখাস্তসহ বিভিন্ন শাস্তির সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়। পরবর্তীতে গত ৪ জানুয়ারি নতুন করে আবার ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেন, আমাদের একটাই মেসেজ-জাতীয় নির্বাচনে ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে কোনো রকম বাধা ছাড়াই ভোট দিতে পারবেন, আমরা সেই নিশ্চয়তা দিচ্ছি। গাইবান্ধার উপ-নির্বাচনে যেমন ভোট বন্ধ করে দিয়েছি, জাতীয় নির্বাচনেও অনিয়ম হলে ভোট বন্ধ করে দেবো।

নির্বাচন সিসি ক্যামেরার ব্যবহার বিষয়ে তিনি আরও বলেন, চলতি বছর অনুষ্ঠেয় পাঁচ সিটি নির্বাচনে আমরা সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করবো। ভোটগ্রহণ করা হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)। জাতীয় নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা ব্যবহারের সিদ্ধান্ত এখনো রয়েছে। তবে সামনে কী হবে তা এখনই বলতে পারবো না। তবে আমাদের ইচ্ছা আছে।

দাতা সংস্থাগুলোর কোনো সহায়তা জাতীয় নির্বাচনে নেবেন কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, সে রকম যদি হয়, আমাদের তো নিতে অসুবিধা নেই। তবে কে কী দেবে বা কীভাবে হবে সেটা আগে দেখতে হবে।

সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জনে কমিশনের কী পদক্ষেপ রয়েছে-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আস্থা বিষয়টি তো মানসিক। কে কীভাবে আস্থা পাবে, তা তো আমরা বলতে পারবো না। তবে আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর এমন কোনো কাজ করিনি যে, কেউ আস্থায় আসবে না। আমরা গাইবান্ধার উপ-নির্বাচনে সে প্রমাণ দিয়েছি।

পরিচয়হীনদের এনআইডি সরবরাহের বিষয়ে রাশেদা সুলতানা বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমাদের একটি কমিটি কাজ করছে। কীভাবে তাদের এনআইডি দেওয়া যায়, তা নিয়ে আমরা ভাবছি।

বিডি প্রতিদিন/আরাফাত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর