অবৈধ সম্পদের মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং তার স্ত্রী জোবায়দা রহমানের বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান পলাতক দুই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর জন্য ১৬ মে দিন ধার্য করেন।
এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মোশাররফ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, “উচ্চতর আদালত তাদের হাজির হওয়ার জন্য নির্দেশ দিলেও কোনো কিছুই তারা মানে নাই এবং বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বর্তমানে বিদেশে অবস্থান করছে। আদালতে উপস্থিত না হয়ে তাদের পক্ষ থেকে কতিপয় বিজ্ঞ আইনজীবী দিয়ে দরখাস্ত দিয়েছেন যে, প্রাইভেট আইনজীবী দিয়ে নিজ খরচায় তিনি মামলাটি পরিচালনা করতে চান।”দুদিন শুনানির পর সেই আবেদন আদালত খারিজ করে দিয়েছে। “তারা নিজেরাই আইনের আশ্রয়ে আসনি, সংবিধান মান্য করেনি, মাননীয় উচ্চতর আদালতের আদেশকে তারা মান্য করেনি, আদালত যে নির্দেশ দিয়েছিল, পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি হয়েছে, সেগুলোকে মেনে অত্র আদালতে উপস্থিত হয়ে তাদের মামলার বিচারিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেনি, সেহেতু আইনগতভাবে কোনো প্রাইভেট আইনজীবী রাখার সুযোগ তাদের নেই। সুতরাং, তাদের আবেদন নামঞ্জুর হয়েছে এবং নামঞ্জুর হবার পর তাদের বিরুদ্ধে চার্জগঠিত হয়েছে।”
এর আগে মামলায় গত ৫ জানুয়ারি তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমানের সম্পদ ক্রোকের আদেশ দিয়েছিলেন। গত বছরের ১ নভেম্বর তাদের বিরুদ্ধে আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তারেক রহমান, জোবায়দা রহমান ও তার মা সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করে দুদক। পরের বছর তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
এর মধ্যেই চারটি মামলায় তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সাজার রায় এসেছে। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগে দুই বছর, অর্থ পাচারের দায়ে সাত বছর, জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১০ বছর এবং একুশে অগাস্টের গ্রেনেড মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড মাথায় নিয়ে বিদেশে পালিয়ে আছেন তারেক। জোবায়দা চিকিৎসক হিসেবে সরকারি চাকরিতে ছিলেন। ছুটি নিয়ে যাওয়ার পর আর কর্মস্থলে না ফেরায় ২০১৪ সালে তাকে বরখাস্ত করে সরকার।
দণ্ডিত তারেক রহমান এক যুগের বেশি সময় ধরে সপরিবার যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন। তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে বিভিন্ন সময় সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত