ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে রাঙামাটিতে শুরু হয়েছে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি। শনিবার বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে বৃষ্টি শুরু হয়।
ঝুঁকিতে বসবাসরতদের সরিয়ে নিতে খোলা হয়েছে আশ্রয় কেন্দ্র। একই সাথে রাঙামাটি কাপ্তাই হ্রদে নৌচলাচল বন্ধ রাখতে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মো. মিজানুর রহমান।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় মোখা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। এরই মধ্যে চলছে ১০ নম্বর মহা বিপদ সংকেত। যেকোন মুহূর্তে আঘাত হানতে পারে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে। তাই রাঙামাটিও বাদ যাবে না। ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে রাঙামাটিবাসীর। ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবেলায় তাই সব ধরণের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে জেলা প্রশাসন। গঠন করা হয়েছে নিরাপত্তা টিম। পাহাড়ে ঝুঁকিতে বসবাসরতদের আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যেতে মাঠে নেমেছে জেলা প্রশাসন ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা। করা হচ্ছে এলাকায় এাকায় সর্তক মাইকিং।জেলা প্রশাসক মো. মিজানুর রহমান জানান, ঘূর্ণিঝড়ে প্রবল বর্ষণে ভূমিধসের আশংকা রয়েছে। তাই ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে বসবাসরতদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বলা হয়েছে। এছাড়া দমকা ও ঝড় হাওয়ার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে পাহাড়ে ঘরগুলো। তাই আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে। সব প্রস্তুতি সম্পন্ন। তবুও সবাইকে সর্তক থাকতে হবে। এলাকায় এলাকায় নিরাপত্তাদল গঠন করা হয়েছে। সবাই যার যার অবস্থান থেকে কাজ করবে।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল