আগস্ট মাস ঘিরে চারপাশে আতঙ্ক, চাপা উত্তেজনা ও নৈরাজ্যের আশঙ্কা। ঘটনাবহুল আগস্ট মাসে ক্ষমতার পালাবদলের এক বছর পূর্তি। সরকারের পাশাপাশি ফ্যাসিবাদবিরোধী দলগুলোর নানা কর্মসূচি চলছে, চলবে। এ সময়ে নাশকতা হতে পারে বলে আশঙ্কা খোদ গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর। হতে পারে হতাহতের মতো ঘটনাও।
উপদেষ্টাদের বহর, রাজনৈতিক দলের সভা-সমাবেশে হামলাসহ বহুমুখী অঘটন ও নৈরাজ্যের ঝুঁকি থাকতে পারে বলেও গোয়েন্দা সংস্থা মনে করে। তাই এসব অপকর্ম ঠেকাতে ব্যাপক প্রতিরোধমূলক প্রস্তুতিতে রয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী। পরিস্থিতি মোকাবেলায় ২০ হাজারের বেশি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি) সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সরকারের বিশেষ গোয়েন্দা প্রতিবেদনের আগাম তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায় এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে সামাজিক অস্থিরতার আলামত দেখা যাচ্ছে। চায়ের আড্ডা থেকে শুরু করে রাজনৈতিক নেতারাও এই নিয়ে আতঙ্কের কথা বলছেন।
আগস্ট ঘিরে হামলা নাশকতার আশঙ্কায় মানুষের মধ্যে চাপা আতঙ্ক রয়েছে। তবে পরিস্থিতি সামাল দিতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। বিশেষ করে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নেওয়া হয়েছে বাড়তি নজরদারি। মাঠ পর্যায়ে ২৪ ঘণ্টা সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে পুলিশ, র্যাবসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যদের। পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সারা দেশে এসপিদের বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) পুলিশ সদর দপ্তর, ডিএমপি ও র্যাব সদর দপ্তর এবং বিভিন্ন গোয়েন্দা সূত্র এমন তথ্যই দিয়েছে।
জানতে চাইলে গতকাল পুলিশ সদর দপ্তরের মুখপাত্র এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর বলেন, ‘সারা দেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এরই মধ্যে বিশেষ অভিযান চলছে। আগামী দিনে যাতে দেশে নাশকতার ঘটনা না ঘটে সেদিকে খেয়াল রাখার পাশাপাশি সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এসপিদের সতর্ক করা হয়েছে।’
গোয়েন্দা সূত্র বলছে, আগস্টে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে মাঠে ২০ হাজার সদস্য প্রতিনিয়ত সতর্ক অবস্থায় থাকবেন। সেই সঙ্গে সিসিটিভি ক্যামেরা, চেকপোস্টেও সতর্ক থাকবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী।
বিভিন্ন সূত্র আরো জানায়, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর গত প্রায় ১২ মাসে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির কাঙ্ক্ষিত উন্নতি হয়নি। বরং দিন দিন আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। এর ফলে দেশের মানুষ চরম বিপাকে আছে।
এই প্রেক্ষাপটে জুলাই অভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তিকে কেন্দ্র করে দেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কায় গত সোমবার (২৮ জুলাই) সারা দেশে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে একটি বিশেষ সতর্কবার্তা পাঠিয়েছে পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি)। ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি), সিটি এসবি, বিভাগীয় উপপুলিশ কমিশনার, চট্টগ্রাম ও খুলনার স্পেশাল পুলিশ সুপারসহ দেশের সব জেলা পুলিশ সুপারের কাছে পাঠানো ওই বিশেষ চিঠিতে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
গোয়েন্দা সূত্র বলছে, ৫ আগস্ট সামনে রেখে দেশে যেকোনো সময় নানা অঘটন ঘটতে পারে। নাশকতার মাধ্যমে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করতে সঙ্ঘবদ্ধ একটি গোষ্ঠী তৎপর রয়েছে। জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম জানান, আগস্টে নাশকতার আগাম তথ্য পেয়ে তাঁরা সতর্ক রয়েছেন। ডিবির একাধিক টিম আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।
অপরাধ বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপের দিকে যাচ্ছে। সে ক্ষেত্রে আগস্ট ঘিরে বড় ধরনের নাশকতার ঘটনা ঘটলে তা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যদের। এ বিষয়ে সাবেক আইজিপি মুহাম্মদ নুরুল হুদা বলেন, ‘আগস্ট ঘিরে মনে হচ্ছে কিছু একটা ঘটবে। তবে যেকোনো নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে জনগণের জানমাল রক্ষা করার দায়িত্ব আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর; যাতে কোনো মানুষ হত্যার শিকার না হয় সেদিকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।’
এই নিয়ে রাজনৈতিক নেতারাও আতঙ্কে আছেন। জানতে চাইলে বিএনপি চেয়ারপারসনের নিরাপত্তা উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল ফজলে এলাহী আকবর বলেন, ‘আগস্টে দেশে নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। নৈরাজ্য বন্ধে জনগণকে সচেতন করতে হবে। এটা দেশের স্থিতিশীলতাকে নষ্ট করবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এই বার্তা দেওয়া যে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীসহ আরো যেসব স্টেকহোল্ডার আছে, তারা যেন সরকারকে সহায়তা করে, যাতে অস্থির কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়। একই সঙ্গে সব রাজনৈতিক দল-মত মিলে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। নৈরাজ্য সৃষ্টি হলে সরকার ও দেশের মানুষ কারোর জন্য ভালো হবে না।’
যা বলা হয়েছে এসবির প্রতিবেদনে :
ওই প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত সময়কে কেন্দ্র করে অনলাইন ও অফলাইনে সংঘবদ্ধ প্রচারণার মাধ্যমে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করা হতে পারে। এই আশঙ্কার কথা জানিয়ে পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, আগামী ১১ দিন সারা দেশে মাঠ পর্যায়ে যেকোনো সময় বড় ধরনের নাশকতা চালানো হতে পারে।
এসবির চিঠিতে আরো বলা হয়েছে, ঐতিহাসিক জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সরকার, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ফ্যাসিবাদবিরোধী সামাজিক সংগঠনগুলো গত ১ জুলাই থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে। এই ধারাবাহিকতায় ২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত কর্মসূচি পালনের সময়কাল বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
এতে বলা হয়েছে, এ সময় কর্মসূচি পালনকে কেন্দ্র করে বিতাড়িত ফ্যাসিবাদী শক্তিগুলো দেশব্যাপী অনলাইন ও অফলাইনে উসকানিমূলক প্রচারণা চালিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে পারে। পাশাপাশি ফ্যাসিবাদবিরোধী কর্মসূচিতে বাধা সৃষ্টি করে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর অপচেষ্টা হতে পারে।
এমন পরিস্থিতিতে নিজ নিজ এলাকায় দেশের সব ইউনিটকে রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ, সন্দেহভাজন ব্যক্তি ও যানবাহনের ওপর নজরদারি, সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদার এবং সাইবার গোয়েন্দা কার্যক্রম তীব্র করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে ২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত বিশেষ অভিযান চালাতে বলা হয়েছে। এ সময়ে ব্যক্তিগত মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাসসহ সন্দেহভাজন সব যানবাহনে তল্লাশি, বাস টার্মিনাল, লঞ্চঘাট, রেলস্টেশন, বিমানবন্দরের আশপাশে নজরদারি ও প্যাট্রল বাড়াতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিল, সাইবার প্যাট্রলিং ও গোয়েন্দা নজরদারি জোরদারের নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি সরকারি ও বেসরকারি সম্পত্তি ও জানমাল রক্ষার্থে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
গোয়েন্দা সূত্র বলছে, এরই মধ্যে অনলাইনে ভার্চুয়াল স্কোয়াড গড়ে তুলেছে অনেকে। ফেসবুক, টেলিগ্রাম ও ইউটিউবভিত্তিক চ্যানেল চালিয়ে সমাজে অস্থিরতা ছড়ানোর কাজ করছে অসাধু চক্রটি।
কোর কমিটির বৈঠকে সতর্কতা :
গত রবিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইন-শৃঙ্খলাসংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠকে দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নাশকতা এড়াতে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া রাজধানীসহ সারা দেশের মাঠ পর্যায়ের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে সমন্বয় করে দায়িত্ব পালনের জন্য বলা হয়েছে।
এদিকে দেশে চলমান আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সরকারের কোর কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে উপস্থিত থাকা এক কর্মকর্তা জানান, আগস্টকে কেন্দ্র করে হামলা ও নাশকতার আশঙ্কা করা হচ্ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি করতে কোনো মহল সক্রিয় কি না তার গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের জন্যও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সাম্প্রতিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ওপর নজর রেখে গত শনিবার রাতে রাজধানীর মিরপুর, গাজীপুর, শরীয়তপুর, কক্সবাজারসহ বিভিন্ন জায়গায় গাড়িতে আগুন ও ভাঙচুর করার বিষয়ও বৈঠকে গুরুত্ব পায়। সেখানে উপস্থিত গোয়েন্দারা জানান, আগস্টে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি বাড়তে পারে।
এসব বিষয়ে সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী গণমাধ্যমে বলেন, দোসররা দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। তাদের কঠোর হাতে দমন করা হবে। যারা দেশে-বিদেশে বসে পরিস্থিতি অশান্ত করার পরিকল্পনায় লিপ্ত, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সূত্র জানায়, সম্প্রতি গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে পাঁচজন নিহত এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর কয়েক সদস্য আতহ হয়েছেন। এর পর থেকে দেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে শুরু করে। কোর কমিটির বৈঠকে বর্তমান আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে রাজধানীসহ দেশের যেখানেই বড় ঘটনা ঘটছে সঙ্গে সঙ্গেই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে সক্ষম হচ্ছে বলেও বৈঠকে জানানো হয়। এ সময় এ বিষয়গুলো গণমাধ্যমে ব্রিফ করে জানানোর পরামর্শ দেওয়া হয়।
গোয়েন্দা সূত্র বলছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় গত বছর জুলাই-আগস্ট মাসে দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি ছিল উত্তাল। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময়ে গত বছর জুলাই-আগস্ট মাসে দেশের ১৭টি কারাগারে বাইরে থেকে হামলা ও বন্দিদের বিদ্রোহের নজিরবিহীন ঘটনা ঘটে। ওই সময় থানার পাশাপাশি কারাগার থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুট করা হয়।
এসব ঘটনায় বিভিন্ন শ্রেণির অনেক বন্দিও পালিয়ে যায়। তবে ওই ঘটনার পর এক বছর পার হলেও এখনো পালিয়ে যাওয়া ৭০০ বন্দিকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। উদ্ধার হয়নি সারা দেশের থানা থেকে লুট হওয়া পুলিশের ১৩ শতাধিক অস্ত্র। অভিযোগ রয়েছে, এসব অস্ত্র এখন অপরাধীদের হাতে চলে গেছে। অপরাধীরা অস্ত্রগুলো বিভিন্ন সন্ত্রাসমূলক কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করছে। জেলার পলাতক অপরাধীরাও নানা গোষ্ঠীর সঙ্গে মিশে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করছে বলে সূত্র জানায়।
একই দিনে শহীদ মিনারে ছাত্রদল ও এনসিপির সমাবেশ নিয়ে উত্তেজনা :
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান স্মরণে মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামী ৩ আগস্ট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। একই দিন একই স্থানে সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), যা নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে পুলিশ বলছে, একই দিনে শহীদ মিনারে ছাত্রদল ও এনসিপির সমাবেশ নিয়ে সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে। এ নিয়ে তারা কাজ করছে। পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে।
এর আগে গত সোমবার বিকেলে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব জানান, তাঁরা জুন মাসেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ৩ আগস্ট শহীদ মিনারে সমাবেশের অনুমতি পেয়েছেন। তবে জুলাই মাসে এনসিপি একই স্থানে সমাবেশ করার ইচ্ছা প্রকাশ করে এবং ছাত্রদলের সঙ্গে যোগাযোগ করে।
এদিকে এনসিপির শীর্ষ নেতারা বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য বারবার ছাত্রদল ও বিএনপির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন বলে জানা গেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. সাইফুদ্দীন আহমদ জানান, ছাত্রদল ২২ জুন সমাবেশের জন্য অনুমতি পেয়েছিল। তবে একই সময় ও স্থানে দুটি রাজনৈতিক সংগঠনকে অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়। তিনি বলেন, ‘উভয় পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধানের চেষ্টা চলছে।’
সৌজন্যে- কালের কণ্ঠ।