‘সকাল বেলার প্রশান্তি কোরিয়া।’ -ছোটবেলার সাধারণ জ্ঞানের বই দেখে মুখস্ত করতে কতই না কষ্ট হয়েছে। কিন্তু বিশ্বাস হয়নি। গতকাল প্রত্যক্ষ করলাম। শারমিন আকতার রত্নার ১০ মিটার এয়ার রাইফেলস প্রতিযোগিতা থাকায় রুম ত্যাগ করতে হয় সকালেই। রাস্তায় বের হয়েই এক অন্যরকম অনুভূতি। মিষ্টি রোদ সঙ্গে ফুরফুরে বাতাস, মনে হচ্ছিল যেন স্বর্গে হাঁটছি!
এ প্রশান্তিটুকু ছিল ইনচেনের অনগিয়ন শুটিং রেঞ্জে পৌঁছার আগ পর্যন্ত। কমপ্লেক্সের ভিতর গিয়ে প্রশান্তি উধাও। যে ইভেন্টে পদক জয়ের স্বপ্ন দেখছিল বাংলাদেশ, সেখানে বাছাই পর্বের গণ্ডিই পেরুতে পারেননি শুটার শারমিন আকতার রত্না। ব্যর্থ অন্য দুই শুটার শারমিন আকতার ও সৈয়দা সাদিয়া সুলতানাও। আসলে স্বপ্নের শুরুটাও স্বপ্নেই হয়। বাস্তবে নয়। তাই তো স্বপ্নিল শুরুর পরও ৫৪ জনের মধ্যে ৩৭তম হলেন রত্না। কঠিন বাস্তবতাকে এড়াতে পারলেন না অন্য দুই শুটার শারমিন ও সাদিয়াও। ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে কাল তিন জনের ফল মিলে ১৫ দেশের মধ্যে ১০তম বাংলাদেশ, মোট স্কোর ১২২৫ । স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন শারমিন আকতার রত্না। গ্লাসগো কমনওয়েলথ গেমসে একটুর জন্য পদক জিততে পারেননি। তাই এশিয়ান গেমসে তাকে ঘিরে প্রত্যাশার মাত্রাটা ছিল আকাশছোঁয়া। রত্না নিজেও ‘দেখিয়ে দেব’ এমন চিন্তা করে দক্ষিণ কোরিয়ায় এসেছিলেন। প্রত্যাশা অনুযায়ী শুরুটাও হয়েছিল দুর্দান্ত। প্রথম ১০ শুটে তিনি সেরা তিনেই ছিলেন। কিন্তু ৪০ শুট শেষ করার পর দেখা যায় রত্না ৩৭তম, স্কোর ৮০৭। কেন এমন হলো, জানতে চাইলে কান্না জড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘আমি কিছুই জানি না। জানতাম, আমাকে নিয়ে অনেক প্রত্যাশা ছিল সবার। আমি নিজেও নিজেকে নিয়ে অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। কিন্তু একি হলো!’ তবে রত্নার তুলনায় অন্য দুই শুটার একটুখানি ভালো করেছেন। শারমিন আকতার ৪০৯.২ স্কোর করে ৩১তম, সাদিয়া সুলতানা হয়েছেন ৩৪তম, স্কোর ৪০৮.৮। কিন্তু বাছাই পর্বের গণ্ডি পার হতে না পারায় আফসোস ঝরল শারমিন আকতারের কণ্ঠে, ‘সত্যি কথা বলতে কি, আমাদের আরও অনেক বেশি অনুশীলন করা দরকার। শুধুমাত্র গেমসের আগে কয়েক মাস প্রস্তুতি নিলে কি হয়। বেশি বেশি আন্তর্জাতিক ইভেন্টে অংশগ্রহণ করলে আমরা নিজের পারফরম্যান্স মূল্যায়ন করার সুযোগ পাবো।’ সাদিয়া সুলতানাও মনে করেন সারা বছরই তাদের অনুশীলনের ব্যবস্থা থাকা দরকার। বাজে পারফরম্যান্স করায় যেন ভেঙে পড়েছেন রত্না। শুটিং শেষে তিনি কথা বলতে ছিলেন নির্বিকারভাবে। কখনো বলছিলেন, আমার আর মনে হয় আন্তর্জাতিক ইভেন্টে খেলা হবে না। আবার বলছিলেন, ‘এখনো সময় বাকি। দেখি কি করা যায়।’ শুটিংয়ের সময়ও রত্নাকে দেখে স্থির মনে হয়নি। কেমন যেন ছটফট করছিলেন। নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই তিনি শেষ করেন। এদিকে সমানতালে লড়েও ফুটবল থেকে বিদায় নিয়েছে বাংলাদেশ। গ্র“পের শেষ ম্যাচে হংকংয়ের বিপক্ষে ভালো খেলেও ২-১ গোলে হেরে যায় মামুনুলরা। আত্মবিশ্বাসকে বাড়িয়ে নিতে কাল রত্নাদের শুটিং দেখতে অনগিয়ন আন্তর্জাতিক শুটিং কমপ্লেক্সে গিয়েছিলেন কমনওয়েলথে রৌপ্য জয়ী শুটার আবদুল্লাহ হেল বাকি। আজ সকালে রয়েছে তার ইভেন্ট, ১০ মিটার এয়ার রাইফেলস। যার দিকে তাকিয়ে শুটিং ফেডারেশন তথা গোটা বাংলাদেশ। রত্নারা ব্যর্থ হওয়ায় তার উপর প্রত্যাশার চাপটা আরও বেড়ে গেছে। তবে এই চাপকে দুপায়ে দলিত মথিত করেই ভালো খেলার কথা জানালেন তিনি। বাকি বলেন, ‘চাপ তো থাকবেই। এটা সব সময়ই থাকে। দেশের হয়ে ভালো খেলাই আমার লক্ষ্য।’ শুটিং কমপ্লেক্সেই দেখা হয়ে যায় বাকির প্রধান প্রতিপক্ষ ভারতের কিংবদন্তি শুটার অভিনব বিন্দ্রার সঙ্গে। লক্ষ্য কি, জানতে চাইলে মুচকি হেসে বললেন, ‘কালই (আজ) জানতে পারবেন...।’
শিরোনাম
- একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ জুলাই)
- বৈষম্য সংস্কৃতির শত্রু দারিদ্র্যও
- নিউজিল্যান্ডের কাছে পাত্তাই পেল না জিম্বাবুয়ে
- সেন্টমার্টিনে এক লাখ ৪০ ইয়াবাসহ গ্রেফতার ১৭
- এনসিপির ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ খতিয়ে দেখা দরকার : এ্যানি
- ১৩ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ বাটলারের
- মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা দ্রুত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে : ধর্ম উপদেষ্টা
- উলভসের হল অব ফেমে জায়গা পেলেন জটা
- চূড়ান্ত সংগ্রামের ঘোষণা দিয়েছিলেন তারেক রহমান : রিজভী
- শ্রোতাদের জন্য হাবিবের নতুন গান ‘দিলানা’
- কোটি মানুষের একটাই দাবি—ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া : মঈন খান
- পঞ্চগড়ে বিএনপির মৌন মিছিল
- ইন্টারনেট শাটডাউন রোধে আসছে আইন : ফয়েজ আহমদ
- কাপ্তাই হ্রদের উন্নয়নে দুই উপদেষ্টার মতবিনিময়
- সরকারের কোলে একদল, কাঁধে আরেক দল : মির্জা আব্বাস
- চলতি মাসে জুলাই সনদ না হলে দায় সরকার আর ঐকমত্য কমিশনের : সালাহউদ্দিন
- সুনামগঞ্জে পানিতে ডুবে ৩ জনের মৃত্যু
- মার্কিন কূটনীতিকদের বিদেশি নির্বাচন নিয়ে মতামত না দিতে নির্দেশ
- বাফুফের ফুটসাল ট্রায়াল শুরু রবিবার
- গোপালগঞ্জে কারফিউয়ের সময় আরও বাড়ল
ফুটবলে বিদায়, শুটিংয়ে রত্নার কান্না
প্রিন্ট ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর