রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৩ ০০:০০ টা

চাকরিজীবীর লাশ উদ্ধার

পৃথক ঘটনায় আরও দুজনের মৃত্যু

ঢাকার অদূরে আমিনবাজার ব্রিজের নিচ থেকে শুক্রবার রাতে সুমন (২৫) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সুমন মুন্সীগঞ্জে বসুন্ধরা টিস্যু কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন। গতকাল সকালে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। নিহতের মা রিনা বেগম জানান সুমন চলতি মাসের প্রথম দিকে ঢাকায় আসেন। ১১ ডিসেম্বর মুন্সীগঞ্জে যাওয়ার উদ্দেশে বাসা থেকে বের হন। এর পর থেকে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। শুক্রবার রাতে দারুসসালাম থানা পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। সুমন পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার আলমগীর হাওলাদারের ছেলে। দারুসসালাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এস এম কাউসার আহমেদ জানান, ধারণা করা হচ্ছে, তাকে দু-তিন দিন আগে হত্যা করে ঘটনাস্থলে ফেলে রাখা হয়েছে। তবে কীভাবে হত্যা করা হয়েছে সে বিষয়টি স্পষ্ট নয়। এ ঘটনায় দারুসসালাম থানায় একটি মামলা হয়েছে। এদিকে, কারওয়ান বাজার এলাকায় শুক্রবার রাতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কাশেম আলী মৃধা (২২) নামে এক টেকনিশিয়ানের মৃত্যু হয়েছে। তেজগাঁও থানার এসআই আবদুস সবুর জানান, রাত আড়াইটার দিকে কাশেম ১৮ নম্বর কারওয়ান বাজারের সামিট কোম্পানির অফিসে ছিলেন। ওই সময়ে তার এক সহকর্মী গেটের চাবি চাইলে তিনি ছাদ থেকে চাবি ছুড়ে নিচে ফেলেন। কিন্তু চাবিটি নিচে না পড়ে পাশের ভবনের একটি বৈদ্যুতিক তারের ওপর পড়ে। কাশেম একটি পাইপ দিয়ে চাবিটি নামানোর চেষ্টা করলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। নিহত কাশেমের বাবার নাম কাইয়ুম আলী মৃধা। তাদের বাড়ি গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার তেঘুরিয়া গ্রামে। এ ছাড়া সবুজবাগ এলাকায় সকাল ৮টার দিকে বারান্দা থেকে পড়ে বরুণ সাহা (৫৮) নামে এক মানসিক রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
তিনি তার পরিবারের সঙ্গে ৬০ নম্বর সবুজবাগের চতুর্থ তলায় থাকতেন। নিহতের বড় ভাই অরুণকান্তি সাহা জানান, সকালে বরুণ বাসার বারান্দা থেকে নিচে পড়ে যায়। তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পাঁচ বছর ধরে তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন।

সর্বশেষ খবর